প্রকাশ: শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৫ পিএম

কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান ‘ক্যাফে’ মুক্তি পেয়েছে। গানটি যেমন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজির চৌধুরী তুহিনের কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে, সঙ্গে স্থান পেয়েছে ব্রাজিলিয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস ও গৌরব চ্যাটার্জি গাবুর সুর-ছন্দ।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘ক্যাফে’। আর সেখানে সুর-ছন্দের তাল উঠতেই কণ্ঠের যাদুতে এন্ট্রি নেন তানজির তুহিন, যা দেখে শ্রোতারা রীতিমতো চমকে যায়।
৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের এই গানটিতে শুধু সুরের খেলা নয়, উঠে এসেছে অনুভূতি। যেখানে বাংলা ও লাতিন জ্যাজের অপূর্ব মেলবন্ধন পাওয়া যায়। শুভেন্দু দাস শুভর সংগীতায়োজনে এফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা এবং বাংলা পঙক্তি একসঙ্গে উঠে এসেছে।
বলে রাখা ভালো, ওপার বাংলার ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির সেই ‘আমার প্রিয়া ক্যাফে’ গানটির রিমেক এটি। যেখানে গাবুর ছন্দ, অ্যাকর্ডিয়নে তোলা লিভিয়ার সুর এবং তানজির তুহিনের কণ্ঠ- সব মিলিয়ে গানটিকে করেছে অনন্য; সব মিলিয়ে অনুভূতিটা এমন, যেন একটি ক্যাফেই মাতাচ্ছেন তারা!
গানটি শুনে শ্রোতাদের মন্তব্যও ছিল সব চমৎকার! প্রথমত শিরোনামহীন, আভাস থেকে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া তানজির তুহিনকে দেখে চমকে যান শ্রোতারা। তাদের বেশ কয়েকজনের মন্তব্য- ‘আরে তুহিন ভাই!’
আর গানের সার্বিক পরিবেশনার প্রশংসা তো রয়েছেই। বিশেষ করে লাতিন ধাঁচের এই সংগীত শুনে ভক্তরা অনেকে চলে গেছেন যেন আশির দশকে! একজনের মন্তব্য, ‘এইট্টিনএস’র নস্টালজিয়া ফিরে এল লাতিন ভাইবের সঙ্গে।’
গানটি প্রকাশের সঙ্গে কোকস্টুডিও বাংলা তাদের ক্যাপশনে লিখেছে, একটা ক্যাফে, যেন হাজারো ছোট গল্পের একটা বই, যেখানে শব্দগুলো আস্তে আস্তে ভেসে যায়। এখানে চোখে চোখে কিছু কথা থেমে থাকে, আর অগোছালো নস্টালজিয়ায় মোড়ানো থাকে স্মৃতি। ক্যাফে সেই থেমে থাকা সময়ের গল্প, যেখানে প্রতিটা টেবিল একেকটা অধ্যায়, কখনও শুরু, কখনও শেষ, কখনও নিঃশব্দ অপেক্ষা।
আজকালের খবর/আতে