প্রকাশ: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৩৫ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বার শাটডাউন ঘটেছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের আমলেই ঘটলো ২ বার। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে কম সময়ের জন্য হলেও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল আটবার।
যুক্তরাষ্ট্রের এসব শাটডাউন এক থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে। সাধারণত ৯০-এর দশকে এসে শাটডাউনের সময় বেড়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলে এ ধরনের শাটডাউন হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে। এছাড়া, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের ছুটির মুখে লাখ লাখ মার্কিনির দুর্ভোগের আশঙ্কার মধ্যে অর্থ বিল পাস করে কোনোমতে শাটডাউন এড়িয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
এবার দুই সপ্তাহ আগে বাজেট অফিসের নির্দেশনায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত যেসব কর্মসূচি, প্রকল্প ও কার্যক্রমের বিকল্প তহবিলের উৎস নেই এবং ‘প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’, সেসবের কর্মীদের স্থায়ীভাবে ছাঁটাই করা হবে।
অনেক ফেডারেল সরকারি সংস্থা কংগ্রেস থেকে অনুমোদিত বার্ষিক তহবিলের ওপর নির্ভর করে। প্রতি বছর এই সংস্থাগুলো তাদের অনুরোধ জমা দেয়, যা কংগ্রেসকে পাস করতে হয় এবং প্রেসিডেন্টকে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য বাজেট আইনে স্বাক্ষর করতে হয়।
১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে যদি কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে শাটডাউন তৈরি হয়। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অনেক জরুরি সেবাও বিঘ্নিত হয়।
দুই সপ্তাহ আগে, মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানরা এবং একজন ডেমোক্র্যাট মিলে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে তহবিল বজায় রাখার জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা পাস করে। কিন্তু উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা বিলটি আটকে দেয়।
সিনেটে বিল পাসে প্রয়োজন ছিল ৬০টি ভোট। কিন্তু বিলের পক্ষে পড়ে ৫৫ ও বিপক্ষে পড়ে ৪৫ ভোট। মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকানদের ৫৩টি আসন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন হওয়ায় কার্যত অচলাবস্থার মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন ছাঁটাই-অবৈতনিক ছুটিতে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মী।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
আজকালের খবর/ওআর