প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৬ পিএম

নাট্যনির্মাতা নাসির উদ্দিন মাসুদ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক অভিনয়শিল্পীকে গণধর্ষণ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনাকে ‘বিব্রতকর’ উল্লেখ করে ভুক্তভোগী ডিরেক্টর গিল্ডে কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম।
ভুক্তভোগী তাছলিমা খাতুন আয়েশার বরাতে জানা গেছে, ‘চার-পাঁচ মাস আগে পূবাইলে শুটিং চলাকালে পরিচালক নাসির উদ্দিন মাসুদ আমার মোবাইল নম্বর নেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত কল দিতেন এবং একসঙ্গে দু-একটি নাটকের শুটিংও করি। হঠাৎ ওই দিন রাতে শুটিংয়ের কথা বলে তিনি বাসা থেকে আমাকে নিয়ে যান। গভীর রাতে গাজীপুরের রাস্ রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে মাদক সেবনের পর পরিচালক মাসুদ ও তার সহকারী বাবর আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরিচালক ও তার সহযোগী পালাক্রমে ধর্ষণের পর বয়স্ক এক ব্যক্তি, যাকে রিসোর্ট মালিক পক্ষের লোক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। সেও আমাকে ধর্ষণ করে। তারা তিনজন মিলে আমাকে গণধর্ষণ করেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবর আমার ব্যবহৃত (আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স) ছিনিয়ে নেয় এবং পরে আমাকে রিসোর্ট থেকে বের করে দেন।’
বাদীর অভিযোগ, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে রিসোর্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়ার পর অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী) এর ৯ (৩) ধারা, দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৮০ ও ৫০৬ ধারায় শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে নির্মাতা নাসির উদ্দিন মাসুদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইতোমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টর গিল্ড ‘বিব্রত’ বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ জানাননি, যে কারণে সাংগঠনিক জায়গা থেকে পুরো বিষয়টি যাচাই না করে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনের এক নেতা জানিয়েছেন- আগামী ১ অক্টোবর সংগঠনের ইসি মিটিং সেখানে নাসিরের ধর্ষণকান্ড নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আজকালের খবর/আতে