প্রকাশ: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:১৮ পিএম

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫২তম গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে সংঘর্ষে ১২জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বে কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বনাম থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসা দল ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে। ৫০ মিনিটের এই ফুটবল বল খেলায় উভয় দল কোনো গোল করতে পারেনি। পরে ট্রাইবেকারে থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসা দলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় দল জয় লাভ করে।
এরপর থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসা দলের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে চলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। সে সময় কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় দলের শিক্ষার্থীরা থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসা দলের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে প্রথমে গালিগালাজ পরে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৩জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসা দলের শিক্ষার্থীরা দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) বাদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানতে চাইলে কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুস সাদাত বলেন, ফুটবল খেলা শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তা সমাধানের জন্য থালতা মাঝগ্রাম এমএ ফাজিল মাদরাসার শিক্ষকদের বসতে বললে তারা না বসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে চলে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ভেন্যুতে বাছাই পর্বের ফুটবল খেলা চলছে। শুধুমাত্র কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ভেন্যুতে মারপিটের ঘটনার কথা শুনেছি এবং একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি উভয়পক্ষকে বসে সমাধান করতে বলেছি। তারা বসে সমাধান করতে রাজি হয়েছে।
আজকালের খবর/ওআর