প্রকাশ: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৪ পিএম

‘এই রাস্তা দিয়ে যখন যাতায়াত করা যাবে না, তাই আমরা কয়েকজন মিলে ধানের চাষ শুরু করেছি’ বলছিলেন কয়েকজন ভ্যান চালক। তারা বলেন, ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে ভেল্লাবাড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা কাঁদাপানিতে জর্জরিত। আমরা ভ্যানে করে ধান, পাট, পেঁয়াজ শহরে নিয়ে যেতে পারি না। আমাদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। কাঁদার মধ্যে চাকা গেড়ে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। কথা হচ্ছিলো রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন থেকে জেলা সদরের ভেল্লাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে। এই সড়কটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছয়টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা দিয়ে।
বারবার ভোগান্তির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও মেলেনি সমাধান। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কপথটি পাঁকাকরণের দাবিতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ স্থানীয়দের এই অভিনব প্রতিবাদ।
জানা গেছে, এই ভেল্লাবাড়িয়া সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের এমন দশায় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় বয়স্ক, শিশু, নারীসহ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি বারে কয়েক গুণ। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কর্মকর্তাদের জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগকে সঙ্গী করে চলাচল করছেন আশেপাশের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
কয়েকজন পথচারী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়ে কৃষক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির সময় টাকা দিলেও মেলেনা পরিবহন। রোগীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। সরকারের কাছে দাবি এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দিক। এতে জনগণের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে।
সড়কটি তিনটি উপজেলার মধ্যে থাকার কারণে কেউ দায় নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেন, এই সড়কটি তিনটি উপজেলার সীমানার মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় কেউ দায় নিচ্ছে না। তবে বেশিরভাগ অংশ বালিয়াকান্দি উপজেলার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, অদ্যবধি এই রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, আগামীতে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প আসলে তখন এই সড়কটি অগ্রাধিকার দিয়ে পাঁকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।
আজকালের খবর/ওআর