অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল খুলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে এ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, ইদানীং একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের অপব্যবহার। মিথ্যা ভিডিও, বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভিডিও, অপতথ্য দিয়ে ভিডিও—এগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থার জনসংযোগ শাখা।
ইসির ইউটিউব চ্যানেলে দেশবাসীর উদ্দেশে সিইসি বলেন, কমিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সবাইকে স্বাগতম। আমরা এ চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ উদ্বোধন করছি। দেশবাসীর কাছে এ চ্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন ও নির্বাচন সংক্রান্ত সব তথ্য নির্ভরযোগ্য, সহজ ও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করবো।
তিনি বলেন, আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে মূলত থাকবে—নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। এতে থাকবে ভোটার নিবন্ধন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সময়ক্ষণ, প্রার্থীদের করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্পর্কিত তথ্য। এছাড়া ভোটার হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়ে তথ্য থাকবে।
সিইসি বলেন, আমাদের মূল ফোকাস থাকবে—নারী, যুব সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণকে মূলধারার সঙ্গে সম্পর্কিত করা। তাদের যেন আমরা নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি। তারা যেন সচেতনভাবে দেশের গণতন্ত্রায়নে অবদান রাখতে পারে, সে সুযোগ আমরা সৃষ্টি করতে চাই।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের তথ্যাবলি বিস্তারিত, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্যভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চাই—যেন মানুষের আস্থা এবং আমাদের স্বচ্ছতা আরও সুদৃঢ় হয়।
সিইসি বলেন, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো—ইদানীং একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের অপব্যবহার। মিথ্যা ভিডিও, বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভিডিও, অপতথ্য দিয়ে ভিডিও—এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার আবেদন থাকবে, যে কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে আপনারা দয়া করে যাচাই করে নেবেন।
‘পাওয়া মাত্র এটা বিশ্বাস করে শেয়ার করবেন না। যদি শেয়ার করেন, তাহলে আগে যাচাই করে নেবেন এবং যদি বিশ্বাস করেন—তাহলে আগে যাচাই করে তারপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন। আমি আশা করবো, আপনারা আমাদের এই ভিডিওটা নিয়মিত দেখবেন এবং চ্যানেলটা সাবসক্রাইব করবেন।’
তিনি বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে অপতথ্যের বিরুদ্ধে সবাই মিলে লড়াই শুরু করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য প্রচারের যে প্রয়াস, সেটা মোকাকিলায় আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাই এবং সবাই মিলে অপতথ্যের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করি। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একটি ফেসবুক পেজে আপনারা নির্বাচন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পাবেন। দেশবাসীকে আমরা আমাদের এ প্রয়াসের সঙ্গে পেতে চাই।
আজকালের খবর/ এমকে