
জুলাই সনদের খসড়া পর্যালোচনা করে নিবন্ধিত ৩৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৩টি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের মতামত দিয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থী, ইসলামি ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিসহ নানা মতাদর্শের দল এতে অংশ নেয়।
মতামত জমাদানকারী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর আগে গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠায়। সনদের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়েছে- পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন।
চূড়ান্ত খসড়ার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
এছাড়া যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত, সেগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, খসড়ার বিভিন্ন বিষয়ে একমত হননি কিছু দল। এসব ভিন্নমতের বিষয়গুলো নোট অব ডিসেন্ট আকারে সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আজকালের খবর/ওআর