বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে রাতভর গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার ঘুমধুম-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান থাকলেও মাঝে বেশ কিছুদিন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ ছিল। হঠাৎ রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত থেকে ২০০-৩০০ মিটারের মধ্যে এ সংঘষ হয়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, কয়েক মাস আগে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে সীমান্ত এলাকাটি দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে সংঘর্ষটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা বা আরএসও’র সঙ্গেও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূট্টো বলেন, দীর্ঘদিন পর সীমান্তে অনেকক্ষণ ধরে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়ায় স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনোপ্রকার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে টহল ও সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজকালের খবর/ এমকে