জুলাইয়ে হামলার উসকানিদাতা হয়েও বিচারের বাইরে জাবির দুই শিক্ষক
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৫ পিএম
লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবউন্নেসা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শফিক-উর-রহমান।

লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবউন্নেসা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শফিক-উর-রহমান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় উসকানি দিয়েছিলেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। এসব শিক্ষকের অনেকে বিচারের আওতায় এসেছেন। তবে ১৭ জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার উসকানিদাতা আওয়ামীপন্থি দুই শিক্ষক এখনও বিচারের আওতায় আসেননি। উলটো নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এসব শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস পরীক্ষা নেয়ায় ফলাফল প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।

বিচারের আওতায় না আসা ওই দুই শিক্ষক হলেন- নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শফিক-উর-রহমান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবউন্নেসা।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংস হামলা চালায়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং কোটা সংস্কার ও হামলার বিচার দাবিতে ১৬ জুলাই থেকে তারা আন্দোলন আরও বেগবান করে। পরদিন ১৭ জুলাই, ক্ষমতাসীন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের উসকানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সিন্ডিকেট আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ওই সময় ভেতরে থাকা সিন্ডিকেট সদস্য ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা- শিক্ষার্থীরা তাদের অবরুদ্ধ করে হামলা চালিয়েছে এমন মিথ্যা অভিযোগ করে ক্যাম্পাসে পুলিশ নিয়ে আসে।

তবে, পুলিশ ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে দেখে। এজন্য তারা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ দেখায়। তবে আলোচনার সময় প্রশাসনিক ভবনের ভেতর থেকে তৎকালীন প্রক্টরসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বারবার পুলিশকে "অ্যাকশনে যাওয়ার" নির্দেশ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উসকানিতে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শুধু তাই নয়, আহত শিক্ষার্থীদেরকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে লাঠি, রড দিয়ে নির্দয়ভাবে মারধরও করে। ওই দিনের ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং প্রাণরক্ষায় কেউ কেউ ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন।

এদিকে এ ঘটনার পর তৎকালীন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু কথোপকথন ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া সেসব কথোপকথনে অন্যান্য শিক্ষকদের পাশাপাশি অধ্যাপক শফিক ও জেবউন্নেসাকে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার উসকানি দিতে দেখা যায়।

ফাঁস হওয়া একটি স্ক্রিনশটে এক শিক্ষক কর্তৃক পুলিশ অ্যাকশনে যাওয়ার কথা বললে সেখানে অধ্যাপক জেবউন্নেসা শিক্ষার্থীদের ধিক্কার জানিয়ে উসকানি দেন। অপরদিকে অধ্যাপক শফিক শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেন। এছাড়া পুলিশি হামলার উসকানি দিতে থাকেন।

এদিকে, গণঅভ্যুত্থানের পর জুলাইয়ে আন্দোলন চলাকালে হামলাকারী ছাত্রলীগ ও উসকানিদাতা শিক্ষকদের বিচারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হামলার ঘটনায় আরও ১০ শিক্ষক ও বরখাস্ত ৯ জনের জন্য স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করে। তবে প্রাথমিক কমিটির প্রতিবেদনে উসকানিদাতা অধ্যাপক শফিক ও জেবউন্নেসার নাম বাদ পড়ায় তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও এই দুই শিক্ষকে বিচারের আওতায় না আনা ন্যায়বিচারের সাথে প্রতারণার শামিল। এই শিক্ষকরা উসকানি দিয়েছেন বলেই সেদিন পুলিশ নৃশংস হামলা চালিয়েছে। আমরা অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এই দুই শিক্ষকের বিচার দাবি করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, আন্দোলনে আমরা দুই ধরনের শিক্ষক দেখেছি। এক যারা আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন আর দুই হলো যারা আন্দোলনের বিপক্ষে থেকে ছাত্রলীগ-পুলিশের হামলায় উসকানি দিয়েছিলেন। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ভার্চুয়াল গ্রুপে উক্ত দুইজন শিক্ষক স্পষ্ট হামলায় উসকানি দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত কমিটিতে উনারা কীভাবে বাদ পড়লেন আমার জানা নেই। আমরা চাই উনাদের উক্ত সময়ের কার্যক্রম পুনঃ:তদন্ত করা হোক এবং অধিকতর তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করা হোক। হামলায় উসকানিতে যুক্ত সকলকে সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্ত কমিটির দেওয়া খসড়া অনুযায়ী আমরা ৯ জন শিক্ষকের তালিকা পেয়েছিলাম যার মধ্যে উক্ত দুইজন শিক্ষকের নাম ছিল না। উনারা কীভাবে বাদ পড়লেন সেটা প্রাথমিক তদন্ত কমিটি ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।

জাবিতে তদন্ত কমিটিতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক, সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মদতে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের জন্য প্রশাসন একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে কমিটিতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা অন্তর্ভুক্ত থাকায় তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দায় এড়াতে এসব শিক্ষক পর্দার আড়ালে তৎপর।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্র মতে, গত ১৭ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিকভাবে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে মোট ১৯ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘স্ট্রাকচার্ড কমিটি’ গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠিত হয়েছে ‘কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ, ১৯৮০’-এর ৫(ক)(২) ধারা অনুসারে, যার সদস্যরা হলেন– উপাচার্য (সভাপতি), অভিযুক্ত শিক্ষকের অনুষদের ডিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে একজনসহ দুইজন সিন্ডিকেট সদস্য এবং রেজিস্ট্রার।

যদিও এই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ অনুষদ ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান আওয়ামী মতাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ, এদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য এবং তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে।

জানা গেছে, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন তার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ। তিনি মেহেদী ইকবালের থিসিস সুপারভাইজর ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলার আগে মেহেদী ইকবাল বন্দুক বের করে ফাঁকা গুলি ছোড়েন এবং হামলার সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেও গুলি করেন। তাকে রক্ষায় চেয়ারম্যান শাহেদুর রশিদ ও অন্যান্য আওয়ামীঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তিনি ছাত্রলীগের কয়েকজন হামলাকারী শিক্ষার্থীকে বাঁচাতেও চেষ্টা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, মেহেদী ইকবাল বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারীদের সাক্ষ্য না দিতে বলেছিলেন।

আরও জানা গেছে, আইবিএ’র সহকারী অধ্যাপক পলাশ সাহার তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আইরীন আক্তার। তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হয়ে শিক্ষক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও নাট্যতত্ত্বের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রৌফ শৈবালের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি হামলাকারী শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষক সমিতির কাছে চিঠি দিয়েছেন এবং অভিযুক্ত সাবেক উপ–উপাচার্য মোস্তফা ফিরোজের এনওসি দিতে উপাচার্যের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন। এছাড়া সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ ও সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসানকে বাঁচাতে জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের প্রভাবশালী দুই শিক্ষক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামীপন্থিরা থাকায় এসব তদন্ত কমিটি থেকে নিরপেক্ষতা আশা করা কঠিন। কারণ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, অভিযুক্তরা সবাই আওয়ামী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং তদন্ত কমিটির অনেক সদস্যও একই ঘরানার হওয়ায় তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে-সব বিভাগের চেয়ারম্যান আওয়ামীঘনিষ্ঠ, তাদের কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, যে-সব শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তারা হলেন- মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ (সাবেক উপ-উপাচার্য), অধ্যাপক আলমগীর কবির (সাবেক প্রক্টর), সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ), অধ্যাপক বশির আহমেদ (সাবেক ডিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ), অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ), অধ্যাপক হোসনে আরা (ইতিহাস বিভাগ), অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার (বাংলা বিভাগ), অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজউদ্দীন সিকদার (পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ)।

এছাড়া তদন্তের আওতায় থাকা অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন— কানন কুমার সেন (অ্যাকাউন্টিং),পলাশ সাহা (আইবিএ), শফি মোহাম্মদ তারেক (পরিবেশ বিজ্ঞান), জহিরুল ইসলাম খোন্দকার (পদার্থবিজ্ঞান), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (অর্থনীতি), মনির উদ্দিন শিকদার ও মোহাম্মদ ছায়েদুর রহমান (লোকপ্রশাসন), আনোয়ার খসরু পারভেজ (মাইক্রোবায়োলজি), মহিবুর রৌফ শৈবাল (নাট্যতত্ত্ব), এ এ মামুন (পদার্থবিজ্ঞান)।

আজকালের খবর/ওআর








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
আদালতে স্বীকারোক্তি: চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন রিয়াদ
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
পরিবারের অমতে বিয়ে করায় দম্পতিকে গুলি করে হত্যা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি
প্রকৃত অপরাধীদের শায়েস্তা করতে হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বাস-সিএজি মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ৫
জুলাইয়ে হামলার উসকানিদাতা হয়েও বিচারের বাইরে জাবির দুই শিক্ষক
সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ চট্টগ্রামে মারা গেছেন
সাজিদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল ইবি, রাবি ও ঢাবি
বরিশালের গৌরনদীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft