প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ও দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এম শমশের আলী আর নেই। তিনি গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
ড. শমশের আলীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা জাতি শোকাহত। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, ড. শমশের আলী বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান গবেষক, চিন্তাশীল শিক্ষক এবং সমাজসেবী। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উচ্চশিক্ষার এক বিকল্প দ্বার খুলে দেয়। তাঁর দূরদর্শিতা, একাডেমিক দক্ষতা ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার প্রসারে অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, মরহুমের মৃত্যুতে আজ রবিবার বাউবিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। জানাজা নামাজ প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে ধানমন্ডির ৭ নম্বর সড়কের লেকপাড়ে অবস্থিত বায়তুল আমান জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা নামাজে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাউবির প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম, রেজিস্ট্রার ড. শফিকুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অগণিত মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
মরহুম ড. শমশের আলীকে তার কর্মময় জীবনের শেষ গন্তব্যে আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
দেশের বিকল্প ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার পথিকৃত ড. শমশের আলী তার স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার অনন্য অবদান, উদার চিন্তা এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত জীবন আজও দেশের শিক্ষা ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে বিবেচিত।
আজকালের খবর/ওআর