প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫১ পিএম

কক্সবাজারের মহেশখালীর বনবিভাগের জমিতে প্যারাবনের বাইনগাছ কেটে অবৈধভাবে চিংড়িঘের নির্মাণ করছিল প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। খবর পেয়ে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বড়দিয়া এলাকায় নির্মিতব্য সেই চিংড়িঘের গুড়িয়ে দিয়ে ৫০ একর সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছেন বন বিভাগ।
রবিবার (৩ আগষ্ট) সকাল ১০ থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বন বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চিংড়িঘের উচ্ছেদ ও সরকারি জমি উদ্ধার করেছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী।
তিনি জানান, উপকূলীয় বনবিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক কক্সবাজারের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সকল বিটের স্টাফ ও লেবার নিয়ে বড়দিয়া বিটের ঘটিভাঙ্গা মৌজার ১০০২ নং দাগ এবং সেই দাগ সংলগ্ন এলাকার সংরক্ষিত বন ভূমিতে বাইনগাছ কেটে চিংড়ী ঘের তৈরির খবর পেয়ে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাইন গাছ কাটা ও অবৈধ ভাবে চিংড়ি ঘের তৈরির পেছনে সরাসরি জড়িত মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আমান উল্লাহ। এছাড়া তার দলের এক বিএনপি নেতার নির্দেশে এই কাজ চলছে। সঙ্গে রয়েছে লিয়াকত আলী মনু, খায়রুল আমিন, আজম উল্লাহ, আবদুল গফুর, আবু বক্কর এবং আবু সৈয়দ ভেট্রো। তারা উভয়ই সম্মিলিতভাবে গ্রুপ হয়ে আনুমানিক ৫০ একর বনভূমির বাইনগাছ কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণের চেষ্টা করছিল। মহেশখালী বন বিভাগের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে জবর দখলমুক্ত করা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বনবিভাগ।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্যারাবন বাংলাদেশের সম্পদ। প্রভাবশালী নেতারা প্রায় সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি সম্পদ লুটপাটে ব্যস্থ থাকেন। ভূমিদস্যু এবং অবৈধ দখলদার যেই দলের হোক না কেন, তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বড়দিয়া বিট কর্মকর্তা, ঘটিভাঙ্গা বিট কর্মকর্তা ও ঝাপুয়া সহ সকল বিটের স্টাফ এবং অর্ধশতাধিক লেবার।
আজকালের খবর/ওআর