প্রকাশ: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:১৭ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমি-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ভাতিজা বউকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে উলিপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, পৌরসভার রামদাস ধনিরাম খেয়ারপাড় এলাকায়।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার রামদাস ধনিরাম খেয়ারপাড় এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হাকিম (৫০) এর সঙ্গে তার বড় ভাই সোলায়মান সরকারের জমি-জমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত শনিবার সকালে আ. হাকিমের নেতৃত্বে তার লোকজন সোলায়মান আলীর বাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাকে মারধর করে। ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। এরপর দুপুরে তারা পুনরায় সোলায়মান আলীর বাড়িতে এসে তার ছেলে ওবায়দুল্লাহকে ডাকাডাকি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। ওবায়দুল্লাহর স্ত্রী লিজা বেগম প্রতিবাদ করলে আ. হাকিমের লোকজন লিজা বেগমকে এলোপাথারী মারপিট করেন। এ সময় চাচা শ্বশুর আ. হাকিম তার হাতে ধারালো ছোরা দিয়ে ভাতিজা বউয়ের মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। লিজা বেগমের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে ওবায়দুল্লাহ বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই চাচা আ. হাকিম প্রথমে আমার পিতাকে মারধর করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এরপর পুনরায় আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে মারপিট করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে আমার স্ত্রীর মাথায় তিনটি সেলাই রয়েছে। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে চাচা আ. হাকিম ও আব্দুল হোসেন (৩৫) সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
ঘটনার বিষয়ে আব্দুল হাকিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মারধরের সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তারা আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম জানান, আহত লিজা বেগম বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকালের খবর/ওআর