
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের নগরপাড়া বটতলা থেকে বামুনিয়া পূর্বপাড়া গ্রাম, একটি রাস্তার কারণে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ৫০ বছরেও এখানে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ভুক্তভোগী মানুষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন এবং সরকারের কাছে তারা দ্রুত নতুন পাকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭২০ জন এবং জনসংখ্যা ২,৫০০ এর (দুই হাজার পাঁচ শতেরও) বেশি। পূর্বপাশ নগরপাড়া বটতলা থেকে পশ্চিম দিকে বামুনিয়া গ্রামের ভেতরে চলে গেছে প্রধান রাস্তা। এর দৈর্ঘ্য প্রায় প্রায় ১ কিলোমিটার। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। পাশের আটকড়িয়া, দিঘলকান্দি, বালুয়াপাড়া, হাড়িয়াকান্দি দহপাড়া গ্রামের অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়তই যাতায়াত করেন। বামুনিয়া গ্রামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৈতিকতা ও ধমীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কাযক্রম ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বড় মসজিদ, ঈদগাঁ মাঠ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রামীণ এ প্রধান রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে গেছে।
দুই পাশে ভেঙে রাস্তাটি সরু হয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস যাতায়াত করা যায় না। ব্যক্তিগত কারের মালিকরা গাড়ি অন্যত্র রেখে বাড়ি যান। বৃষ্টি হলে রাস্তার মাঝে মাঝে গর্তে হাঁটু পানি জমে যায়। তখন পায়ে হেঁটেও চলা কষ্টকর। এছাড়া যাতায়াতের অসুবিধার কারণে ইমাজেন্সি রোগি হাসপাতালে নিতে সমস্যা হয়। ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ শোনার কেউ নাই।
অটো চালক মজিদ বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, বর্ষাকালের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়।
এক নারী পথচারী বলেন, ভ্যান চলে না, তাই হেটেই যাতায়াত করি। গর্ভবতী নারীদের যাতায়াতে যে কি কষ্ট হয়, সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
মো. ছিদ্দিক বলেন, আমরা গ্রামবাসী চরম ভোগান্তিতে আছি। বর্তমান বাংলাদেশের যুগে এ ধরনের রাস্তা কোথাও আছে কিনা, সেটা আমার জানা নেই।
শাজাহান বলেন, আমাদের কষ্ট চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। এছাড়াও মো. সোলেমান বলেন, শুধু বামুনিয়া গ্রামের নয়, সার্বিক এলাকার মানুষ নতুন রাস্তা চাচ্ছে।
বামুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র সাহা আজকালের খবরকে বলেন, কোমলমতী শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে অসুবিধা হয়। বৃষ্টি হলে ছেলেমেয়েরা পা পিছলে পড়ে ব্যথাও পায়। এখানে দ্রুত নতুন রাস্তা করা দরকার।
সোনাতলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, প্রজেক্টে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে বামুনিয়া গ্রামের এ রাস্তাটি দ্রুতই নির্মাণ করা হবে।
আজকালের খবর/ওআর