প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪৮ পিএম

কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে অপহরণের শিকার তিন কিশোর পর্যটককে উদ্ধার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণ চক্রের এক সদস্যকেও আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, উদ্ধার হওয়া তিন কিশোর হলো মো. সাইদুল ইসলাম (১৬), মিজবাহ উদ্দিন (১৪) ও ওবাদুল ইসলাম (১৫)। তিনজনের বাড়িই চট্টগ্রাম মহানগরে। অপহৃত কিশোরদের কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের পাহাড়ে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয়েছিল। অপহরণের পর তাদের স্বজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। র্যাবের অভিযানে অপহরণ চক্রের সদস্য মো. রিয়াদকে (১৯) আটক করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানার ঘোনার নবী হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে, অপহৃত তিন কিশোরকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পেছনের পাহাড়ে আটকে রাখা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানকার একটি আস্তানা থেকে ১২-১৫ জন অপহরণকারী পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে চক্রের একজন মো. রিয়াদকে আটক করা হয়। পরে আস্তানা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত তিনজন ও আটক অপহরণকারীকে আজ বিকেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপহরণের শিকার কিশোর সাইদুল ইসলাম তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। ওই দিন রাত আটটার দিকে তিনজন কক্সবাজার বাস টার্মিনালে নামে। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে হোটেলে যাওয়ার সময় তারা অপহরণের শিকার হয়। পরবর্তী সময়ে অপহরণকারী ব্যক্তিরা অপহৃত কিশোরদের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় অপহরণের শিকার কিশোর মিজবাহ উদ্দিনের মা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর গতকাল বুধবার কিশোরদের স্বজনেরা র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে কিশোরদের উদ্ধার করে।
আজকালের খবর/ওআর