প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ১১:০৪ এএম

রাজধানীতে সঙ্গীর জননাঙ্গ কেটে ফেলার পর গ্রেপ্তার এক নারীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী ওই নারী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ বলছে, ওই নারী ভাটারা থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীটনাশক পান করেন এবং শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপর দিকে জননাঙ্গ কাটা পড়া ৪৮ বছর বয়সী পুরুষটি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি ও ওই নারী একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি মিরপুর ১২ নম্বরে একটি বাসায় থাকেন। তার স্ত্রী জার্মানিতে থাকেন। কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন। তবে স্ত্রীর বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি সেখানেই থাকেন। তা ছাড়া তার সঙ্গে স্ত্রীর বনিবনাও হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গী ওই পুরুষ শিক্ষকের বাসায় যান ওই নারী। সেখানে তারা রাতে একত্রে থাকেন। ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সঙ্গীর জননাঙ্গ কেটে ফেলেন ওই নারী। পরদিন সকালে তিনি সঙ্গীকে রক্তাক্ত অবস্থায় বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানার পুলিশ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে। এ সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’– এ ফোন করে তাকে রক্ষা করার দাবি জানান। ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ভাটারা থানার আরেক দল পুলিশ সেখানে যায়। পরে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে ভাটারা থানায় নিয়ে যায়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাবি করেন, ভাটারা থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওই নারী তাঁর লোকদের দিয়ে ওষুধ আনার নাম করে কীটনাশক আনান এবং তা পান করে অচেতন হয়ে যান। এরপর তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পল্লবী থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, আহত শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগেই ওই নারীর বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান তিনি। ওই নারী ও তাঁর স্বজনেরা দাবি করেন, সহকর্মী ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তার (ওই নারী) স্বামী। তিন-চার মাস আগে তাঁদের দুজনের মধ্যে বিয়ে হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই নারী।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ওই নারী সত্যিই তার স্ত্রী ছিলেন কি না, তা কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আজকালের খবর/বিএস