কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্পন্ন করার এক বছর পরেও নম্বরপত্র না প্রদান করায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির আবেদন ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এর দীর্ঘসূত্রিতায় চরম অসন্তোষ, গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদ।
সোমবার (৭ জুলাই) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, নম্বরপত্র প্রাপ্তি বিলম্বিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নানা অনিশ্চয়তা ও হতাশার মুখোমুখি হচ্ছেন যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলমের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘সফটওয়্যারজনিত সমস্যার’ অজুহাত দেখিয়ে দেরি করছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা চলা স্পষ্টতই প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি চরম অবহেলা।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘যেখানে অনলাইন প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে, সেখানে শুধুমাত্র নম্বরপত্র প্রদানে এমন দীর্ঘসূত্রিতা অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জাজনক। শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষে এমন হয়রানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তারা আরও উল্লেখ করেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই। ‘সফটওয়্যার সমস্যা’ নামক অজুহাত না দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। একইসাথে, একাডেমিক কাগজপত্র উত্তোলনে শিক্ষার্থীদের যেন কোনোরূপ হয়রানির শিকার না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
বিবৃতিতে সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সংগঠনটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য হবে।
আজকালের খবর/ এমকে