ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র রহস্যময় মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তে ইতোমধ্যে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দশ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তদন্ত কমিটি। তবে এ কমিটি যদি মৃত্যুর রহস্য বের করতে না পারলে সিআইডি, বিচার বিভাগীয় ও প্রয়োজনে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রশাসন ভবনের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, সাজিদের মৃত্যুতে তোমাদের মত আমি সমভাবে ব্যথিত। তোমাদের মতো আমিও জাস্টিস চাই। প্রশাসন সাজিদের মৃত্যুকে কোনোভাবেই ধামাচাপা দিতে চায় না, এই নিশ্চয়তা তোমাদের দিচ্ছি। এ কমিটি যদি মৃত্যু রহস্য বের করতে না পারে তাহলে সিআইডি দ্বারা তদন্ত করানো হবে, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করানো হবে। প্রয়োজনে আমরা পিবিআইকে দায়িত্ব দেব। আমি সামান্যভাবেও এটাকে ছেড়ে দেব না, আমরা এর শেষ দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটার পরপরই রুটিন ভিসি ও প্রক্টরিয়ার বডির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবি সমূহ মেনে নেয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগের ডিআইজির সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে ভিসেরা রিপোর্ট কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের কাছে তদন্ত রিপোর্ট এবং ভিসেরা রিপোর্ট আসলে খুব দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার পরপরই সাজিদের পরিবার জিডি দায়ের করেছে। যেহেতু মৃত্যুর রহস্য স্পষ্ট হয়নি, তাই মামলার জটিলতা রয়েছে। একই বিষয়ে দু'বার মামলা করা যায় না। তবে পুলিশি মামলায় সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
আজকালের খবর/ এমকে