
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মোল্যা রেজাউল করিম বনবিভাগে দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে পরিচিত । বদলি বাণিজ্য, বনায়ন, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে বন বিভাগে এমন কোনো আর্থিক খাত নেই যেখান থেকে তাকে কমিশন দিতে হয় না। চাঁদাবাজি করতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তার অধস্তন অনুসারিদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন মোল্যা বাহিনী। মোল্যা রেজাউল করিম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন এলাকায় বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে তার বেশুমার দুর্নীতির বিষয়ে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম দুদকের আরেকটি টিম।
অভিযোগ রয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বন অধিদফতর মোল্যা রেজাউল করিমের দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে একের পর এক চিঠি দিলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ২০২৫ সালে (সম্প্রতি) দুদকে করা অভিযোগের সুরাহা করেনি দুদক কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, সেই সময় সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কারণে মোল্যা রেজাউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে তিনি এখন বিএনপির অনুসারী সেজেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সুবিধাবাদী মোল্যা নিজেকে সংস্কারপন্থি দাবি করে বন অধিদফতরে আন্দোলনের হুমকি দেন। এই সুযোগে বাগিয়ে নেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের পদটিও। ২০০৩ সালে বন বিভাগে নিয়োগ পাওয়া মোল্যা রেজাউল করিম শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিএফ পদে পদায়ন পান।
জানা গেছে, মোল্যা রেজাউল করিমের দুর্নীতির খবর দীর্ঘদিন ধরে বন অধিদফতরে আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন বিভাগকে দুর্নীতির ডেরায় পরিণত করেছেন। গত সরকারের আমলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো আর অধস্তনদের চোখ রাঙানো ছিল তার নিয়মিত কাজ। সরকারি চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই অধস্তনদের কোণঠাসা করতে স্টিম রোলার চালকের আসনে তিনি। গত সরকারের বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মা ডেকে গড়ে তুলেছেন অর্থ-সম্পদের পাহাড়। বিশ্বস্ত অধস্তনদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্রাজ্য। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মোল্যা রেজাউল করিম শুধু চট্টগ্রাম নয়, খোদ বন অধিদফতরের জন্যই এক আতঙ্ক।
ফেসবুক ওয়াল সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর মোল্যা রেজাউল তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘জেদি মেয়ে আমার শাসন করেছে প্রমত্তা পদ্মা বহমান, জান্নাত হতে চেয়ে দেখে পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান।’ জুলাই বিপ্লবের পর তিনি ফেসবুকে লেখেন, সারাটি দিন কাটিয়ে দিলাম চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত এই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে।তিনি শতকরা ৫ টাকা হারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। বিগত দিনে চট্টগ্রাম ফরেস্ট অ্যাকাডেমির পরিচালকের পদে থেকে ৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের নামে নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ দিয়ে কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরেস্ট অ্যাকাডেমির ডরমেটরি ভেঙে নিজের জন্য বাসস্থান তৈরি করা সৌন্দর্যবর্ধনের নামে অপ্রয়োজনীয় ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করেন। অথচ নিজের নামে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি বাড়ি সাবেক এক প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে মাসিক ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া দেন।
মোল্ল্যা রেজাউলের রোষানলে পড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন ডিভিশনে কর্মরত ফরেস্টার ও ফরেস্টগার্ডরা জানান, মোল্যা রেজাউল চট্টগ্রাম অঞ্চলে যোগদানের পর একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। তার অনুসারী নন এবং প্রতিবাদী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বদলি নীতিমালা লঙ্ঘন করে যোগ্য ও কর্মঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি করেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন তিনি৷ বন বিভাগে দূর্ণীতির বরপুত্র বলা হয় এই মোল্ল্যা রেজাউল করিমকে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রমে প্রত্যেকটি অভিযোগে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় উন্মুক্ত অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বরাবরে অনুমতি চেয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু পত্র প্রেরণের আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুদকের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই। অভিযানের পর 'মোল্যা দুদক ম্যানেজ করেছেন'- মোল্যা বাহিনীর এমন দাম্ভিকতার মন্তব্যে চট্টগ্রাম বন বিভাগে এখন আলোচনার খোরাক যোগাচ্ছে।
সেই সময়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মুহাম্মদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। আমরা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে এখানে যোগদান করেন । এরপর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একই দিনে তার স্বাক্ষরে ৭৭ জন কর্মচারী বদলি হয়। অভিযোগ এসেছে, এখানে প্রতিটি বদলির জন্য অনেক টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বদলি বাণিজ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের নিয়ম মেনে বদলি করা হয়েছে কি না সেসব নথিপত্র আমরা নিয়েছি। বন সংরক্ষককে আমরা দীর্ঘ তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। উনার আগের কর্মস্থলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। উনি ফেনী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় একটি বাগান প্রকল্পে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তৎকালীন ঢাকার প্রধান বন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী দুইবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি। আমরা এসব বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিছু নথিপত্র পেয়েছি। যেগুলো পাইনি সেগুলোও পাব। যারা বদলি হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। সবার বক্তব্য নেওয়ার পর, নথিপত্র যাছাই-বাছাই করে আমরা চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি।
অনুসন্ধান বলছে, বন সংরক্ষকের কার্যালয় চট্টগ্রাম অঞ্চলে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব ও সহকারী পরিদর্শক কমল চক্রবর্ত্তী এর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের টিম একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালে অভিযানিক দল সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চট্টগ্রাম অঞ্চল বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমকে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁর নিকট থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আংশিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে বাকি রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট অধিযাচনপত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ওই পত্রের প্রেক্ষিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ চাহিত রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেননি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র বলছে, মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ৭টি পৃথক অফিস আদেশে ফরেস্টগার্ড, ফরেস্টার, নৌকা চালক ও ডেসপাস রাইডার পদমর্যাদার মোট ৭৭ জন কর্মচারীকে বদলি করা হয়। একইদিনে একসাথে ৭৭ জন কর্মচারীর বদলির বিষয়টি অস্বাভাবিক। বদলির ক্ষেত্রে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০০৪ পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়নি। প্রতিটি বিভাগে পছন্দের লোক রেখে কম চাকুরিকালের ব্যক্তিদের বদলি করা হয়েছে। বন সংরক্ষকের আস্থাভাজন হওয়ায় কয়েকজনকে বদলীর সময় হলেও তাদের বদলি করা হয়নি। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এই বদলি বাণিজ্যে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে। মোল্যা রেজাউল করিম চট্টগ্রাম ফরেস্ট একাডেমির পরিচালক থাকাবস্থায় ৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগটি যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে দুদক। বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম নিজেই বন আইন অমান্য করেছেন। বন আইন, ১৯২৭ এর ২৬ ধারা লঙ্ঘন করে ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরেস্ট একাডেমির ডরমেটরি ভেঙ্গে নিজের জন্য বাসস্থান তৈরি এবং সৌন্দর্য বর্ধনের নামে সরকারি অর্থের অপচয় করেছেন। বন আইন লঙ্ঘন করে এসব বিধিবহির্ভুত কর্মকান্ড করায় এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করতে চেয়েছে দুদক।
মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। তিনি ঊ র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সরকারি গাড়িযোগে চট্টগ্রাম থেকে নিজ জেলা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বাগমারা গ্রামে যাতায়াত করতেন। তার সরকারি গাড়িচালকের ব্যক্তিগত ফেসবুক ঘেঁটে এই অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। তিনি ফেনী জেলার সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা থাকাবস্থায় বাগান সৃজন না করে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। ওই জেলায় তার আমলে ১ লক্ষ চারাগাছ রোপন করা হয়েছে বলা হলেও বাগান জরিপ করে একটি জীবিত চারাগাছও পাওয়া যায়নি। তৎকালীন প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী, মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বার বার ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুদকের তদন্তে বাগানের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ থেকে তিনি নিষ্কৃতি পেয়েছেন বলে দাবি করলেও এই সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া মোল্যা রেজাউলের বিরুদ্ধে কাপ্তাই রেঞ্জে প্রশিক্ষণে থাকাকালীন সেগুন বাগান বিক্রি, বান্দরবানে থাকাকালীন টাকার বিনিময়ে অবৈধ জোত পারমিট প্রদান, যশোরে থাকাকালীন সামাজিক বনায়নের লটের কাঠের গড় নিলাম কম দেখিয়ে দুর্নীতিসহ মোট ১৩টি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে দুদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) জানান, মোল্যা রেজাউলের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত হয়েছিল। তদন্তে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সেই প্রস্তাব আর আলোর মুখ দেখেনি।
চট্টগ্রাম দুদকের পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন বলেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা স্বাভাবিক নিয়মেই তদন্ত হবে। এখানে ব্যত্যয় ঘটার কোনও সুযোগ নাই। বন অধিদফতরের কর্মকর্তা মোল্ল্যা রেজাউলের বিরুদ্ধে আনীত অফিযোগও তদন্ত হবে, এবং তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাসখানেক আগে মোল্ল্যা রেজাউল করিমের দুর্নীতির বিষয়ে আরেকটি তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোল্যা রেজাউল করিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আজকালের খবর/বিএস