
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খ্যাতিমান নির্মাতা কাজী হায়াতের জয় বাংলা সিনেমা দিয়ে চিত্রনায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে মিতুর। ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুনের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় জাহারা মিতু প্রকাশ করলেন নানা অনুভূতি। বলেন “আমার অনেক সৌভাগ্য বলব। কারণ কিংবদন্তি নির্মাতা কাজী হায়াতের জয় বাংলা সিনেমা দিয়ে পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। যদিও এটি আমার সাইন করা চতুর্থ সিনেমা, কিন্তু বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আমাদের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ শব্দের মধ্য দিয়ে। সেই সঙ্গে আমি বোনাস হিসেবে পাচ্ছি এত বড় একজন লেখক। মুনতাসীর মামুন স্যারের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত। সব কিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় আমি সোনায় সোহাগা।”
আমার তো সব কমার্শিয়াল সিনেমা। শুধু একটি মাত্র অফ ট্র্যাক, যেটি আমি করেছি। শুধু একটি উপন্যাসের অংশ হিসেবে থাকতে চাই। কালজয়ী একটি সিনেমার অংশ হিসেবে থাকতে চাই- এই উদ্দেশ্য নিয়েই সিনেমাটি আমার করা। অফ ট্র্যাক সিনেমার ক্ষেত্রে যেটা হয়, এটার দর্শক কিন্তু লিমিটেড থাকে।
সিনেমায় গ্ল্যামার ইমেজ ফেলে দিয়ে যারা শুধু একজন অভিনেত্রীকে খুঁজতে যাবেন, যারা দোলা চরিত্রটিকে খুঁজতে যাবেন, ১৯৬৮ থেকে একাত্তরের একটি কিশোরী মেয়েকে যারা দেখতে যাবেন, তাদের জন্য এই জয় বাংলা সিনেমা।
সিনেমার ট্রেলার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকের নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আপনাকে নিয়ে হয়তো তাদের প্রত্যাশা আরেকটু বেশি ছিল। এ নিয়ে মিতু বলেন- আমি সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেছি আমার পরিচালককে। তিনি বলেছেন, আমি চাই না তুমি কোনো মেকআপ নাও। আমি সেটাই ফলো করেছি। তিনি যে ধরনের কস্টিউমে চেয়েছেন, সেভাবেই আমি করেছি, আমি কিন্তু কোনো সাজেশনও দিইনি। আমি কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ভরসা করেছি আমার পরিচালকের ওপর। আমার পরিচালক যেভাবে দোলা চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন, আমি সেটাই করেছি।
আর ট্রেলার দেখে আমি বলব, পুরো সিনেমা ট্রেলার থেকে অনেক অনেক ভালো। যদি আমি একজন দর্শকের জায়গা থেকে বলতে যাই, আমি নিজেও কিন্তু সন্তুষ্ট নই ট্রেলার দেখে। এটি আমি কিন্তু আমার প্রোডাকশন হাউসকেও বলেছি। যেহেতু অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র, এখানে বাজেটে স্বল্পতা ছিল। বাজেটের কারণে আমরা আসলে সবাই কোথাও না কোথাও হেরে গিয়েছিলাম।
‘টুঙ্গিপাড়া চলচ্চিত্র’ ব্যানারের এটি প্রথম চলচ্চিত্র। তাদের প্ল্যানেও কিছু ভুল ছিল। আমরা যখন পুরো টিম নিয়ে বসেছিলাম, তখন আমরা কিন্তু এটা স্বীকার করেছি। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে আমরা একটা চেয়েছি ভালো কাজ করার, আমরা একটা দলিল তৈরির জন্য।
আমি বলব ট্রেলারের ওপর ভরসা করে সিনেমা দেখব না- এমন সব সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে দেশপ্রেমের প্রতি যে দায়িত্ববোধ আছে, সেটার জন্য হলেও যেন মানুষ হলে গিয়ে জয় বাংলা দেখে।
আশা করছি আগামী বছর আমার চারটি সিনেমা আসছে। আগুন ছবির ডাবিং শেষ করেছি। এরমধ্যে দুটো গান বাকি। এটা শেষ করেই সামনের মাসের ফার্স্ট উইকের দিকে আমি নতুন একটা সিনেমার কাজ করতে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে নারীনির্ভর একটা গল্প। সেটার নাম আমরা এখনই বলছি না। সেটা হয়তো ধামাকা আকারেই আমরা প্রচার করব। এই কারণে এখন নাম বলছি না।
আজকালের খবর/আতে