সরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের ব্যাপক পদোন্নতি আগামী সপ্তাহে
নূরুজ্জামান মামুন
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম
প্রায় এক যুগ পরে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কলেজের প্রভাষকরা পদোন্নতি পাচ্ছেন। পদোন্নতির চূড়ান্ত সভা আগামীকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এরমাধ্যমে দীর্ঘদিন শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের হতাশা দূর হবে। অন্যান্য ক্যাডারে ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে বিষয় ভিত্তিক পদোন্নতির কারণে দীর্ঘ পদোন্নতি জট তৈরি হয়েছিল। পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অপর দিকে সরকারি হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদোন্নতির শর্ত প্রমার্জন করেছেন রাষ্ট্রপতি। এ দুই পদে কর্মরতদের পদোন্নতি দিতে আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি)’ সভা ডেকেছে। 

সহকারী অধ্যাপক হচ্ছেন দেড় সহা¯্রাধিক প্রভাষক: সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করেও বছরের পর বছর পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে কোনো কোনো ব্যাচের কর্মকর্তারা দেড় যুগ ধরে একই পদে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন একই পদে কর্মরত থাকায় শিক্ষা ক্যাডারের মূল পদ সরকারি কলেজের শিক্ষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। সামাজিকভাবেও বিব্রত হচ্ছেন। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত ২৯ জুন সহকারী অধ্যপকদের পদোন্নতি দিলেও প্রভাষকদের পদোন্নতি আটকে ছিল। অবশেষে প্রভাষকদেরও পদোন্নতির তালিকা চূড়ান্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ‘বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির (ডিপিসি)’ সভা ডাকা হয়েছে। এর আগে ডিপিসি কমিটির সদস্যরা গত অক্টোবরে টানা চার দিন সভা করে যাচাই-বাছাইয়ে সহকারী অধ্যাপকের শূন্যপদে এক হাজার ৫৩২ জনকে পদোন্নতির তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছিল। এরপর সচিব বিদেশ ও অসুস্থ থাকায় পদোন্নতির প্রক্রিয় থমকে যায়। বিসিএস ২৮তম থেকে ৩৩তম ব্যাচের প্রভাষকরা পদোন্নতি পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন পদোন্নতি জটের কারণে ৩৪ তম ব্যাচের আড়াই শতাধিক প্রভাষক পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করলেও তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তবে আগামীকালের সভায় পদোন্নতির চূড়ান্ত সুপারিশ করবে ডিপিসি। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন পেলে যে কোনোদিন পদোন্নতির সরকারি আদেশ জারি করা হবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ( কলেজ) মু. ফজলুর রহমান আজকালের খবরকে বলেন, মঙ্গলবার ডিপিসি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় পদোন্নতির তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। দ্রুত পদোন্নতির কার্যক্রম শেষ করা হবে। পদোন্নতির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিপিসি সভার আগে এ সংখ্যা বলা যাবে না। 

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত শিক্ষকরা বলেছেন, অন্য ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়। যে কারণে শিক্ষকরা বঞ্চনার শিকার হন। বিসিএস ২৮ ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারে নিয়মিত পদোন্নতি না পাওয়ায় অন্য ক্যাডারের চেয়ে অন্তত মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন কম পান। চাকরি জীবনের শেষে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা কম পাবেন। সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন। পদোন্নতি দিলেও সরকারের বাড়িত অর্থ খরচ হবে না। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পেয়ে বর্তমানে ষষ্ঠ গ্রেডের সমান বেতন পাচ্ছেন তারা। 

সূত্র জানিয়েছে, ২৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সিনিয়র সহকারী সচিব পদে অনেক আগে পদোন্নতি পেয়েছেন। এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া চলছে। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও নিয়মিত পদোন্নতি পেয়েছেন। অথচ একই ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো প্রভাষক। তারা প্রায় এক যুগ ধরে একই পদে কর্মরত আছেন। অন্য ক্যাডারে ‘ব্যাচভিত্তিক’ পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে ‘বিষয়ভিত্তিক’ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এছাড়া নিয়মিত পদোন্নতি দেওয়া হয় না। যে কারণে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। সরকারি কলেজের শিক্ষকদের দাবি ব্যাচভিত্তিক ও নিয়মিত পদোন্নতির। 

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির শর্তে বলা হয়েছে, প্রভাষক পদে অন্তত পাঁচ বছর চাকরি করতে হবে। বিধি মোতাবেক চাকরি স্থায়ী হতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১৪ বছরের মধ্যে সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এসিআর/বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন সন্তোষজনক ও এসিআর এ বিরূপ মন্তব না থাকা। বিভাগীয় মামলা না থাকা। এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় সিনিয়র স্কেল পদোন্নতি পরীক্ষা হতে প্রমার্জিত হওয়া তবে চাকরি স্থায়ী হতে হবে। বয়স ৫০ বছর পূর্ণ হলে বিধি মোতাবেদক চাকরি স্থায়ী হতে হবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস  (পদোন্নতি পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৭  এর বিধি ৮ অনুসারে কোন কর্মকর্তা পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে চাকরির মেয়াদ ১৫ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর ফিডার পদ পূর্ণ হলে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। তবে এরপর তিনি আর কোনো পদোন্নতি পাবেন না। তবে বিধি লঙ্ঘন করে বিগত দিনে বহু জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। 

মন্ত্রণায় ও মাউশি সূত্রে জানা গেছে, বিসিএস শিক্ষাক্যাডারের সহকারী অধ্যাপক পদে (ষষ্ঠ গ্রেড) দিতে মাউশি অধিদপ্তরে ১৭টি ও বিষয়ভিত্তিক চার হাজার ৩৫৩টিসহ মোট চার হাজার ৩৭০টি পদ রয়েছে। সহকারী অধ্যাপক এর বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদ ৪৪৪টি, সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিজনিত শূন্য পদ এক হাজার ৮৮টি এবং সহকারী অধ্যাপক এর চার হাজার ৩৭০টি পদের ১০ শতাংশ হিসেবে ৪৩৭টি রিজার্ভ পদের মধ্যে ২৫৩টি শূন্য রিজার্ভ পদের বিপরীতেও পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে শূন্য পদের সংখ্যা এক হাজার ৭৮৫টি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রস্তাবিত সমন্বিত পদ সৃজনের ১২ হাজার ৪৭৯টি পদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপকের পদ রয়েছে চার হাজার ৪২৭টি। সব মিলিয়ে দুই হাজার ১৬৬জনকে পদোন্নতির প্রস্তাব করেছে মাউশি। তবে দেড় হাজার জনকে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে।  
মাউশির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘সহকারী অধ্যাপক’ পদে পদোন্নতি দিতে যোগ্য প্রভাষকদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতার তালিকা মাউশির ওয়েবসাইটে দুই বার প্রকাশের পর প্রাপ্ত আপত্তিগুলো বিবেচনায় নিয়ে তথ্য সংশোধন করে জ্যেষ্ঠতার তালিক তৈরি করা হয়েছে। পদোন্নতি প্রদানের বিষয়ে আদালতের কোন-বিধি নিষেধ নেই। 

মাউশির পদোন্নতিযোগ্য তালিকা অনুযায়ী অর্থনীতিতে ১৮৭ জন, ইংরেজি বিষয়ের ১৭৭ জন, উর্দ্ধু বিষয়ে দুই জন, আরবী বিষয়ে ১২ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে ১৩৮ জন, আরবী ও ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে ২৯ জন, সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ২৭ জন, সংগীতের ইতিহাস এক জন, সংস্কৃত ছয় জন, হিসাব বিজ্ঞান ১১০ জন, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পাঁচ জন, মেন্টাল হাইজেন এক জন, দর্শন ১৪৭ জন, কৃষি বিজ্ঞান দুই জন, কম্পিউটার একজন, গাহ্যস্থ অর্থনীতি পাঁচ জন, গণিত ১৫৯ জন, পরিসংখ্যান ছয় জন, প্রাণিবিদ্যা ১০৭ জন, বাংলা ২০৪ জন, সমাজকল্যান ৪৫ জন, ভূগোল ৪৫ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২১১ জন, রসায়ন ১৪১ জন, মার্কেটিং সাত জন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান ২১১ জন, মনোবিজ্ঞান ১৫ জন, ইতিহাস ১৩৮ জন, উদ্ভিদবিদ্যা ১২৮ জন, ব্যবস্থাপনা ১৪৪ জন, পদার্থ বিদ্যায় ১৫১ জন। টিটিসি কলেজেগুলোতে ২৬ জন। এর মধ্যে সরাসরি ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক দুই হাজার ৪৩৭ আর বাকিরা আত্তীকৃত। 

সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জট খুলছে: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পর নীতিমালা তৈরিতে বিলম্ব ও মামলার কারণে দীর্ঘদিন পদোন্নতি আটকে ছিল। ২০১৮ সালে নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর ৪২০ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল। সরকারি চাকরি বিধামালা (বিএসআর) ১৯৮১ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ফিডার পদে পাঁচ বছর চাকরি করতে হয়। গত এপ্রিলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়। পদোন্নতি যোগ্য শিক্ষকদের তালিকে চেয়ে মাউকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র তিন জন শিক্ষক ফিডার পদ পূর্ণ করায় তাদের তালিকা পাঠায় মাউশি। ফের গত ১৯ মে মন্ত্রণালয় ফের মাউশিতে চিঠি পাঠায়। প্রধান শিক্ষক শুন্য পদে পদোন্নতি দিতে ডিপিসি সভা আয়োজন করতে প্রধান শিক্ষক পদে শুন্য পদের সংখ্যা, পদোন্নতিযোগ্য ফিডার পদে কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য ২৭ মের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়। জবাবে মাউশি ২৩৩ জনকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির সুপরিশ করে। পদোন্নতির শর্ত পূরণ না হওয়ায় শিক্ষক নেতারা দাবি করেন, দীর্ঘ দিন পদোন্নতি আটকে থাকায় শিক্ষকরা পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। যে কারণে তারা পদোন্নতির শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে দীর্ঘ দিন চাকরি করায় সবারই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার রয়েছে। এসব যুক্তি দিলে তারা রাষ্ট্রপতির প্রমার্জন চেয়ে পদোন্নতির দাবি করেন। শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রমার্জনের জন্য প্রস্তাব পাঠায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে। গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির প্রমার্জনের চিঠি পৌছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এরপরই আজ সোমবার ডিপিসি সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশি সূত্র জানায়, চাকরি বিধি অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে ২০ শতাংশ সরাসরি পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার শর্ত রয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। সদ্য জাতীয়করণসহ সারাদেশে মোট সরকারি হাইস্কুলের সংখ্যা ৬৮৭টি। এর মধ্যে পুরনো ৩৫১টি সরকারি হাইস্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে ২৪৪টি পদোন্নতি যোগ্য পদ রয়েছে। আর ১৮টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদ শুন্য রয়েছে। দুই পদে মোট ২৬৬ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে ৪২০ জনকে প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। 

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেন আজকালের খবরকে বলেন, ফিডার পদে পদোন্নতি শর্ত পূরণ না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পদোন্নতির শর্ত রাষ্ট্রপতি প্রমার্জন করেছেন। এখন যে কোনো দিন শিক্ষকরা পদোন্নতির সুখবর পাবেন।  

পদোন্নতির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন মাহমুদ সালমী বলেন, বহু বছর পদোন্নতি বন্ধ থাকায় পদোন্নতি জট তৈরি হয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে পদোন্নতি দেওয়া হলে শিক্ষকরা মানুষিক প্রসান্তি পাবেন। তাদের হতাশ দূর হবে। এর মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষ অর্জন সম্ভব হবে। 

আজকালের খবর/








সর্বশেষ সংবাদ
নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী ও কৃষি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে মনোজ বৈদ্য
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সমতা চায় টিআইবি
স্বাগতম ২০২২, বিদায় ২০২১
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সুবাহর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
তাদের মাখো মাখো ‘প্রেমের প্রাসাদ’!
‘আমাকে জায়গা দিন, এটা আমার প্রাপ্য’ : লালকেল্লার দাবিদার মোগল সম্রাজ্ঞী
চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা
আমি অনেকটাই ভেঙে পড়েছি : শামীম ওসমান
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft