সোমবার ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশ
এস এম মুকুল
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:১৬ PM আপডেট: ২৩.১১.২০২৪ ৮:২২ PM
বাঙালিরা জাতি হিসেবে ফ্যানটাস্টিক। আমরা ফান করতে খুব পছন্দ করি। আমাদের নিয়ে প্রবাদ আছে- ‘রঙ ভরা বঙ্গ দেশ’। আমরা গুজব ছড়াতে পছন্দ করি, গুজব নিয়ে মাতামাতি করতে দারুণ এনজয় করি। একারণে আমাদেরকে বলা হয়- ‘হুজুগে বাঙালি’। ফেসবুক দেখলে বুঝা যায়- আমরা কতটা হুজুগে বাঙালি আর এই দেশ সত্যিই রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশ! এর কারণ কি? কারণ হলো- আমরা জাতি হিসেবে অসুখি। আমাদের জাতীয় আদর্শ নেই, রাজনৈতিক আদর্শ নেই, সামাজিক আদর্শ নেই- যা আছে তা আমরা পরস্পরের বিরোধিতার কারণে মানি না। এই ধরুন একটা কৌতুক বলি- একজন ভদ্রলোক পিকেটারের কাছে জানতে চাচ্ছে- ‘আচ্ছা তোমরা এই যে রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে যাও কত করে পাও?’

‘যেই দলের মিটিংয়ে যাই তারা দেয় পঞ্চাশ ট্যাকা আর যেই দলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেই তারা দেয় ত্রিশ টাকা।’
‘কেন ওরা ত্রিশ টাকা দেয় কেন?’

‘ওই যে মিটিংয়ে নেতা বক্তৃতা দিতে উঠলে পঁচা ডিমতো আমরাই মারি!’

ব্যাপার হয়েছে কি- আমাদের দেশের মানুষ যা করে বুঝে-না বুঝে বা বেবুঝের মতো করে ফেলে। এরা বিরোধিতা করে। কেন করে তা ঠিক জানে না। পরিণতি কী- দেশের ভালো না মন্দ তা জানে না। এই ব্যাপারটাও কৌতুকের মতোই বলা যায়- ‘আচ্ছা আপনি পলিটিকস করেন?’

‘সত্যি কথা বলব?’ ‘হ্যাঁ, বলুন।’ ‘সত্যি কথাটা হচ্ছে আমি আসলে রাজনীতি বুঝি না, তাই পলিটিকস করি।’

খেয়াল করে দেখবেন আমরা দুর্নীতিমুক্ত সমাজের কথা বলি কিন্তু আমরা মনে-প্রাণে দুর্নীতিপ্রবণ। কারণ- আমরা আত্মীয়তা করি দুর্নীতিবাজ পরিবারের সঙ্গে। স্বজন-সুজনে-প্রিয়জনে দুর্নীতিবাজ থাকলেও আমরা তাদের বয়কট করি না বরং আদর-সাদরে তাদের সংসর্গ-সাহচর্য পছন্দ করি। আমাদের সমাজে দুর্নীতির প্রবণতা কেমন দেখুন- 

ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে চাকরিটা চলে গেল শ্যামল সাহেবের। বিষণ্ন মনে ঘরে ফিরলেন। স্ত্রী সব শুনে তার মুখে হাসি ফোটনোর জন্য বললেন- স্ত্রী: এত চিন্তা করছো কেন? ব্যবস্থা তো আছেই! শ্যামল সাহেব: কী ব্যবস্থা? স্ত্রী: সব সময় তো দেখছি তোমার বেতনের টাকার চেয়ে ঘুষের টাকাই বেশি; এবার থেকে না হয় ঘুষের টাকাতেই সংসার চলবে; এত ঘাবড়ানোর কী আছে?

ফেসবুক দেখলে, ইউটিউব দেখলে, রিল দেখলে বাঙালিদের কৌতুক প্রিয়তা লক্ষ্যণীয় হয়ে পড়ে। মনে হয় এদের কোনো কাজ নেই। এদের জীবনে আনন্দ নাই। জীবনে কোন সুখ নাই, স্বস্তি নাই- ডিপ্রেশনে ভরপুর। তা না হলে ফালতু বিষয় নিয়ে এত মাতামাতি হবে কেন। যেসব বিষয় মৌলিক নয়, সত্য নয়, গুজব, বানোয়াট, তথ্য-বিভ্রাট, সমাজের জন্য ভালো নয়, রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয় সেসব নিয়ে এত মাতামাতি কেন হবে। একদল আরেকদলকে পচায়, পচানোর পর খুচিয়ে খুচিয়ে দুর্গন্ধ বের করে। আবার সেই দুর্গন্ধকে অপরের গায়ে লাগিয়ে বেড়ায়! কী আশ্চর্যজনক জাতি। একটা জাতির মননে কত হতাশা থাকলে, দেশপ্রেম না থাকলে এসব করতে পারে- তা ভাবাও কঠিন।

বলছিলাম বাঙালি কৌতুকপ্রিয় জাতি। কৌতুক বলা এবং শোনা দুটোই পছন্দ করে। অবশ্য তাদের কৌতুকের বিষয় সদা সর্বদাই অন্য কেউ। নিজেকে নিয়ে কৌতুক করতে পারাটা উচ্চমার্গীয় মননের ব্যাপার তাই অন্যকে নিয়ে কৌতুক করে নিজের দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করে। ছোট্ট একটা দেশ- বাংলাদেশ। জনসংখ্যা যত বেশি। সম্ভাবনাও কত বেশি। অথচ দেখেন- কত দলে কোন্দল। ধর্ম আর রাজনীতিতে একাকার। আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করি না। আমরা দেশকে আমেরিকার হাতে তুলে দিই, ভারতের কাছে তুলে দিই- আমাদের লজ্জা লাগে না। একটি দল আরেকটি দলকে স্পেস দিতে রাজি না। তারপরও আমরা গণতন্ত্র চর্চার দাবি করি। আচ্ছা দেখুন তো আমাদের দেশের রাজনীতি আর গণতন্ত্র চর্চা গল্পটির সাথে মিলে কি-না।

ইদুর আর সাপের মাঝে কথা হচ্ছে- তোমার মধ্যে বিষ নেই, তাই তুমি অত্যন্ত দুর্বল। সাপ ইঁদুরকে ফিসফিস করে বললো- যার মধ্যে যতো বিষ রয়েছে, পৃথিবীতে সে ততো সম্মান পেয়ে থাকে। বিষ থাকলে, তবেই ক্ষমতা দখল করতে পারবে। মনে রেখো, তোমার বিষ তোমার জন্য অমৃত স্বরূপ। ইঁদুর মনোযোগ সহকারে শুনে চলেছে- তোমার মধ্যে বিষ থাকতে হবে। তবেই তুমি সম্মান পাবে। তবেই তোমাকে সকলে ভয় করবে। সাপ মোহময়ী সুরে বলে চলেছে। বিষয়টি ইঁদুর অনুধাবন করে,, সে বুঝতে পারে, বিষ না হলে জীবন অপূর্ণ। তাহলে আমার কি করা উচিত? নিরীহ ইঁদুর প্রশ্ন করে। একেবারে সহজ উপায়... তোমার অন্তরে বিষ তৈরী করতে হবে। -সে না হয় হলো। কিন্তু, নিজের ভিতরে বিষ তৈরী করবো কীভাবে? ইঁদুর অতি-উৎসাহী হয়ে পড়ে। যেভাবেই হোক বিষ তৈরী করতে হবে।
-তুমি চাইলে আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি! সাপ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কীভাবে ? -তুমি চাইলে আমার কাছ হতে বিষ নিতে পারো। আমি তোমাকে বিষ দিতে প্রস্তত।

শক্তি-ক্ষমতা-সম্মানের জন্য লালায়িত ইঁদুর তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে পড়ে। সাপ ইঁদুরের সম্মতি দেখে মনে মনে হেসে ওঠে। এরপর ইঁদুরের সম্মতিক্রমে তার শরীরে সাপ নিজের বিষ ছড়িয়ে দেয়। রক্তের সঙ্গে মিশ্রিত বিষ, ইঁদুরের শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে। যন্ত্রণায় সে কাতরাতে থাকে। তার পুরো শরীর বিষের কারণে নীল হয়ে পড়ে। ইঁদুর চিরতরে শান্ত হয়ে গেলো।

ইঁদুরের ডেডবডি মুখে নিয়ে সাপ জনসভার দিকে এগিয়ে চলে। সেখানে হাজার হাজার সাপ অপেক্ষা করে চলেছে। সকলে মিলে সাপকে হর্ষ-উল্লাসে স্বাগত জানাতে থাকে। ইঁদুরের ডেডবডি দেখে সমস্ত সাপ আনন্দিত, সম্মিলিতভাবে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে পড়েছে সাপেদের শ্লোগানে। সভা শুরু হলো। -বন্ধুগণ, আমার প্রিয় বন্ধুগণ। 

সমস্ত সাপ মনোযোগ সহকারে শুনে চলেছে। চারিদিক নিস্তব্ধ, কোথাও কোনো শোরগোল নেই। -বন্ধুরা, আমি যেভাবে আপনাদের কাছে কথা দিয়েছি, ঠিক সেভাবেই নিজের কার্য সম্পন্ন করেছি। ইঁদুরের ডেডবডি সকলের উদ্দেশ্যে দেখিয়ে বলে- দেখুন, রেজাল্ট আপনাদের সামনে। কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।

সমস্ত সাপ ফোঁস ফোঁস করে তাকে সমর্থন জানিয়ে দিলো। সাপ বলতে থাকে- বন্ধুরা, আমরা আগে থেকেই অনেক বদনাম হয়ে রয়েছে। নতুন করে আর বদনামের ভাগীদার হতে চাইছি না। দেখুন বন্ধুরা, আমি এই কাজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করেছি।

আমার ওপরে কেউ দোষারোপ করতে পারবে না। কারণ, ইঁদুর নিজেই আমার কাছে বিষ চেয়েছে, আমি তার চাহিদা পুরণ করে দিয়েছি। সমস্ত সাপ দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোঁস ফোঁস শব্দে তাকে সম্মতি জানিয়ে চলে।

-বন্ধুরা, প্রথমে লক্ষ্যবস্তুর হৃদয়ে বিষাক্ত করে তুলতে হবে। সেই বিষ ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে পৌঁছে যাবে। মস্তিষ্ক হতে শিরায় শিরায় বিষ ছড়িয়ে পড়বে। সে অস্থির হয়ে উঠবে। সমস্ত সাপের দল মনোযোগ সহকারে শুনে চলেছে। -আমরা স্বপ্ন এবং ভয়, দুটো হাতিয়ার একসাথে প্রয়োগ করে যাবো। Ñভালো দিনের স্বপ্ন দেখাতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে, ভয়ঙ্কর বিপদেও ভয় দেখিয়ে যেতে হবে।

-বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নন-ইস্যুগুলো,ইস্যু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা আসল ইস্যু হতে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারে। সাপ নিজের মুখে ইঁদুরের ডেডবডি তুলে নিয়ে বলে- দেখুন, কীভাবে স্বেচ্ছায় সে আমাদের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। কীভাবে সে নিজের শরীর নীল করে ফেলেছে।

সমস্ত সাপ ইঁদুরের নীল রঙের মৃতদেহ দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের মধ্যে অজানা এক রোমাঞ্চ অনুভব করতে থাকে। সাপ বলে চলেছে- বিষ ভরতে থাকুন। বিষাক্ত করে দিন সমস্ত শরীর। কিন্তু, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, উপদেশের ছলে, শান্তির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ধীরে ধীরে, একটু একটু করে বিষ ভরে দিন...।

-দেখবেন, উপদেশ উন্মাদনা হয়ে উঠবে। এভাবেই আমাদের নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। দেখবেন, গোটা দেশ সর্পময় হয়ে উঠেছে। সেদিন অত্যন্ত সন্নিকটে, যেদিন দেশের মধ্যে কেবলমাত্র সাপ ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না। এক বৃদ্ধ সাপ উত্তেজিত হয়ে ফোঁস ফোঁস করে বলে- বুঝেছি, আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র-কে খতম করে, সাপের রাজ্য সাপত্ব কায়েম করতে হবে। -মুরুব্বী ঠিক বলেছেন। আমিও ঠিক এটাই বোঝাতে চাইছি।

সাপ সম্মতির সুরে মাথা নেড়ে বলে। দ্বিমত পোষণকারী এক যুবক সাপ উঠে বললোÑ দেখুন, ইঁদুর মায়াজালে ফেঁসে গেছে, কিন্তু, সকলে এভাবে ফেঁসে যাবে তার গ্যারান্টি কোথায়? -ভেরী গুড কোয়েশ্চন। একথা বলে সাপ বেশ কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে পড়ে। 

এরপর মাথা ঝাঁকিয়ে বলে-যতক্ষণ নিজেদের মধ্যে আধিপত্যবাদের অনুভূতি বিরাজমান থাকবে, ততক্ষণ কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। বর্তমান সময় আমাদের জন্য এক গোল্ডেন-পিরিয়ড। বর্তমান সময়ে সবাই একে অপরের ওপর আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে। আমাদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে, এগিয়ে যেতে হবে। 

এই কথা শুনে সমস্ত সাপের মধ্যে খুশীর লহর বয়ে গেলো। -বন্ধুগণ, কেবলমাত্র গর্ব বিক্রি করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্বের স্বপ্ন দেখিয়ে যেতে হবে। শ্রেষ্ঠ হওয়ার স্বপ্ন তাদের ধ্বংস করে দেবে। একদিন সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের প্রথম টার্গেট হলো ইঁদুর। আপাতত ইঁদুর শেষ করতে হবে। আমরা ছুঁচো,, নেউল, বেঁজী, গোসাপ, ব্যাঙ, বিচ্ছু সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাব। প্রথম টার্গেট শেষ হলে দ্বিতীয়, তারপর তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, এভাবে সকলকে শেষ করে দেবো।

চারিদিকে হর্ষধ্বনিতে উত্তাল গোটা জনসভা। সবাই সাপের নামে ধন্য ধন্য করে চলেছে। সাপের স্বপ্ন, সর্পরাজ্য গঠন করা। যে রাজ্যে বিষহীন ছোটজাতের সাপের কোনো জায়গা থাকবে না। কেবলমাত্র বেশকিছু বিষধর সাপ নিজেদের রাজত্ব, নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম রেখে যাবে। যেখানে অন্য কারো জায়গা থাকবে না।

সর্বসম্মতিক্রমে সাপেদের নেতা নির্বাচিত হয়ে গেলো। বড়ো ফুলের মালা পরে, ইঁদুর মারা বুদ্ধিমান সাপ বলে ওঠে- বন্ধুগণ, পথ দেখিয়ে দিলাম, আর বসে থাকা চলবে না। এখনই কাজে লেগে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, গণতন্ত্র হত্যা করার কাজ আমরা নিপুণভাবে করে যাবো। 

সকলে দলনেতাকে ধন্য ধন্য করে বেরিয়ে গেলো নিজের দায়িত্ব পালন করতে। সভাস্থলে পড়ে রয়েছে ইঁদুরের লাশ। নিশ্চিত, এখানে একের পর এক লাশ আসবে। লাশের স্তূপে পরিণত হবে গোটা ময়দান। ইঁদুরের লাশ,, ব্যাঙ,, ছুঁচো, নেউল, বেঁজি, এমনকি বিষহীন সাপের লাশে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে গোটা ময়দান। জীবিত থাকবে কেবলমাত্র কয়েকটি বিষাক্ত সাপ। এমন দেশ, এমন পৃথিবীই আপনি চাইছেন?

লেখক : সাংবাদিক ও কৃষি বিশ্লেষক।

আজকালের খবর/আরইউ








http://www.ajkalerkhobor.net/ad/1724840661.gif
সর্বশেষ সংবাদ
পদ্মায় চলছে ঢাকা-দিল্লির পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক
বারবার প্রস্রাব-তলপেটে ব্যথা, জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ নয় তো?
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো টাইপিং ইন্ডিকেটার্স ফিচার
বেশি পেঁপে খেলে যা হয়
ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বৃদ্ধকে বিয়ে, ফুলশয্যার আগে দেনমোহর নিয়ে উধাও যুব মহিলা লীগ নেত্রী!
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইবিতে মারামারি
হঠাৎ এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
গভীর রাতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন, মা ও চাচি নিহত
ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft