সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রঙের খেলা
আশরাফ উদ্দীন আহমেদ
প্রকাশ: শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩, ৩:২২ পিএম
মৃদু খট খট শব্দ করতে করতে ক্রাচে ভর দিয়ে রহমান রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ালো। গিজগিজ করছে মানুষ। ঠেলাঠেলি আর ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে মানুষ মিছিলের মতো ছুটছে। সময় নেই কারো, এতোটুকু ঘুরে দাঁড়ানোর বা কথা বলবার। হিংস্র ট্রাকগুলো ছুটছে মসৃণ পিচঢালা প্রস্তর রাস্তা দিয়ে সাঁ সাঁ করে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছে রিকশা, টেক্সি, টেম্পু; প্রাইভেট গাড়ি তো আছেই। এখানে ট্রফিক আইন মানাটা যেন ব্যক্তিগত বিষয়। কারো ইচ্ছে হলো তো মানলো, ইচ্ছে হলো না মানলো না। ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত মানুষ। কে কার ওপর খবরদারি করে, বাঁচার তাগিদে সবাই দিশেহারা।
রহমান রাস্তার মোড়ের পুরানো দেবদারু গাছটার কাছে দাঁড়িয়ে টাউন সার্ভিসের অপেক্ষায় সময় গুনছে। একটার পর একটা গাড়ি ছুটে যাচ্ছে কিন্তু  মোড়ের কাছে বেশিক্ষণ থামছে না। যেন বা ক্রাচে ভর করা রহমানের দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপ করে ছুটে চলে যাচ্ছে। সব গাড়ি অবশ্যই এ’মোড়ে দাঁড়ায়ও না। শুধুমাত্র যাত্রাবাড়ীগামী গাড়িই থামে কিছুসময়। ওপাশের সাজানো গোছানো ছিমছাম দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে রহমান। এই মোড়টা রহমানের অতি পরিচিত। দেখতে-দেখতে অনেক পুরনো হয়ে গেছে, কালের সাক্ষী দালানগুলো দাঁড়িয়ে আছে বেশ। বিশাল-বিশাল আলিশান প্রাসাদগুলো দেখতে-দেখতে অনেক কথা ভাবে রহমান, ভাবনা যেন দলছাড়া গরুর মতো ছুটে ছুটে আসে, সব কেমন একাকার হয়ে গেছে সময় আর কালের প্রবাহে। আকাশটি প্রতিদিন যেন মানুষের খুব কাছাকাছি এসে যাচ্ছে, একদিন কি আকাশের নীলের সমুদ্রে মানুষ হারিয়ে যাবে!
এই দেশটাকে মুক্ত করতে, স্বাধীন একটা পতাকার জন্ম দিতে রহমানও যুদ্ধ করেছিলো। একাত্তরের সেই বিভীষিকাময় কালো রাত্রিগুলোর ছবি আজো রহমানের চোখের ভেতর আটকে আছে। দেশকে শত্রুমুক্ত করার শপথ নিয়ে, সীমান্ত অতিক্রম করে ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলো। শহরের পর শহর, গ্রামের পর গ্রাম যখন উজার, কোটি কোটি মানুষ ভয়ে দিশেহারা ও পলায়ণপর, তখন রহমান ঘরে বসে থাকেনি। দেশমাতৃকার জন্য ছুটেছে শত্রুর মুখোমুখি। দীর্ঘ নয় মাস অতন্দ্র প্রহরীর মতো অক্লান্ত যুদ্ধ করে গেছে, দেশ স্বাধীন করার প্রত্যয়ে।
রহমান এই শহরের একটি পত্রিকা অফিসে চাকরি করে, স্টাফ রিপোর্টার। পত্রিকার মালিক রহমানের বন্ধুর চাচা। সাব্বির আর রহমান দুজন খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো। দুজনেই ইতিহাসের ছাত্র, একই হলে থাকতো। অনার্স ফাইনাল দেওয়ার সময় যুদ্ধের ডামাডোল বাজে। অন্যসব ছাত্রের মতো সাব্বির ও রহমান লেখাপড়ার পর্ব স্থগিত রেখে দেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধে যায়। দুজনে একই সেক্টরে ছিলো। মুখোমুখি যুদ্ধ ছাড়াও গেরিলা যুদ্ধ করেছে। একই সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি বোমার আঘাতে গুড়িয়ে দিয়েছে, রাস্তায়-রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অনেক সৈন্যভর্তি ট্রাক নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে, হানাদারদের বিপদে ফেলবার জন্য কতো সাঁকো ব্রিজ পুল বোমার আঘাতে উড়িয়ে দিয়েছে, অবশেষে পূর্ণিমাহীন এক অমাবষ্যার বিভীষিকাময় কালো রাত্রে হঠাৎ ধরা পড়ে যায় সাব্বির। ওদের গুলিতে রহমানের মাজার পাশ দিয়ে একটা বুলেট চলে যায়। সেই থেকে পঙ্গু একটা মানুষ রহমান। আর সাব্বির মহাকালের গহ্বরে  চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়।
রহমান বেঁচে গেলেও অভিশপ্ত জীবন নিয়ে অন্যের জন্য জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়। যুদ্ধ শেষে অনেক ভেবেছে, অনার্স ফাইনাল পরীক্ষাটি দেবে, কিন্তু সেই স্পৃহা, সেই ক্ষমতা মনোবল মেধাশক্তি ক্রমে-ক্রমে সবই যেন অকেজো হয়ে গেছে, ভেতর থেকে কেউ যেন বাঁধা দেয়। তা ছাড়া প্রাণের চেয়েও প্রিয় বন্ধু সাব্বিরকে হারানোর পর লেখাপড়ায়ও আর উৎসাহ পায়নি। তারপর ইন্টারমিডিয়েট সার্টিফিকেট পূজি করে বিভিন্ন অফিস পাড়ায় অনেক ঘুরেছে হন্যে হয়ে একটি সময়। কিন্তু কেউই তাকে পুছেনি অর্থাৎ মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি।  একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো দু’ হাত দু’ পা সবই আছে, শক্তি নেই শুধু ডান পায়ে। মেরুদণ্ড থেকে মাজা অবধি অবশ হলেও নিজেকে কোনো ক্রমে পঙ্গু ভাবতে পারে না। ক্রাচের সাহায্যে চলাচল করতে হয় বগলে ভর দিয়ে, দিনে দিন ক্রাচ দুটো তার কাছে সাব্বিরের মতো প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে, এমন বন্ধু কেউ আছে কারো। কিন্তু সবাই রহমানকে চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে একটু আশ^াস আর মায়া বা শ্রদ্ধা ঢেলে বলেছে, স্বাধীনতার বীর যোদ্ধাদের দেখলে বড় মায়া হয়। ব্যাস এটুকুই! তারপর আর কোনো দায়িত্ব যেন থাকতে নেই।
রহমান গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলতে চেয়েছে, আমাদের দেখলে তোমাদের আজ মায়া হয় কেন? এই তোমাদের জন্যই কি লুটেরা হানাদারদের এদেশ থেকে এক হাজার মাইল দূরে তাড়িয়ে দিয়ে এসেছি? সেই বীর যোদ্ধাদের এমন অবস্থা হবে কেন! একটি মাত্র চাকরির জন্য ভিখারীর মতো পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়ানো কেন? কিন্তু এই চির সত্য কথাটি রহমান একবারও উচ্চারণ করতে পারেনি। কেন পারেনি সে ব্যাখ্যাও সে দিতে পারবে না। সময় যেন সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে, সময়ের কাছে সবাই তাই পরাজিত বিধ্বস্ত।
বাড়ির অবস্থাও রোগাক্লিষ্ঠ রোগীর মতো শোচনীয়। রহমানের বড় ভাইটিও স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারায়। পিতাকেও ছাড়েনি ওরা দুই ছেলে মুক্তিযোদ্ধা বলে।  রহমানের বড় ভাবী আর কলেজ পড়ুয়া বোন সাহানাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গভীর এক রাত্রে। এদেশীয় মুখ চেনা কিছু মানুষের বীভৎস চেহারা সে দিন উন্মেচিত হয়েছিলো সবার কাছে। 
আজ তারা কোথায়? আবার কি সেই সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে কেউ দূরে নিভৃতে বসে। বিশ^বেহায়ারা বেরিয়ে এসো! সাহস থাকে তো মাঠে নামো! আজকে সময় এসেছে কড়ায়-গণ্ডায় শুধরে দেওয়ার।
বাড়িতে আছে বিধবা মা আর ছোট ভাই শামীম। এই দুজনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা রহমানের আজ বেঁচে থাকা। অবশেষে সাব্বিরের চাচার পরামর্শে কয়েকদিন বেগার বেগার খেটে রিপোর্টারের চাকরি পায়। সে কতোকাল হয়ে গেল যেন। জীবন মানে কি বিষাদসিন্ধু নাকি মরুভূমির বুকের তপ্ত বালুকারাশির  মধ্যে হেঁটে যাওয়া। মা ছোট ভাই আর বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকার জন্য বেঁচে থাকার সাধ হয়। বুক গর্ভে ফুলে ওঠে।
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপর, এর মধ্যে অনেক টাউন সার্ভিস বাস মিনি চলে গেল। যাত্রীর ঠাসাঠাষি আর গুঁতোগুঁতির ভেতর ইচ্ছে করে ঢুকতে চায়নি, সকালের এই অফিস সময়টি বড় বোরিং ফিল করে রহমান। একটা মিনিবাসে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেও ধাক্কা খেয়ে নেমে এসেছে রাস্তায়। অফিসের কোনো বাঁধাধরা সময় নেই। এক এক দিন তার এক এক সময়, পত্রিকা অফিসের চাকরি... এ এক বিচিত্র টেবিল টাইম। তবু অনাবিল আনন্দ।
অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে ব্যথা লেগে গেছে পায়ে, পকেটে কিছু পয়সা ছাড়া তেমন কিছু নেই যে রিকশা চেপে যাবে। মাসের শেষে পকেট গড়ের মাঠ। রিকশা চাকরিস্থলে যেতে অনেক ক’টা টাকা ছিনিয়ে নেবে। আজকাল রিকশাওয়ালারা ডাকাতের মতো শুধু টাকা ছিনতাই করে, তাও আবার রহমানের মতো আধমরা মানুষদের কাছ থেকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে একটু নড়ে উঠলো, আর দেরি করা উচিত হবে না। অফিশিয়াল সময় বলে কথা আছে, যতোই বন্ধুর চাচার অফিস হোক না কেন, দায়িত্ববোধ বলে একটা কথা আছে, কোড অব কনডাক এবং সেটি মেনে চলা আবশ্যক।
চাকরিটা আজ রহমানের কাছে সবচেয়ে বড় শক্তি। এই শক্তি নিয়ে পঙ্গু জীবনে মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে। এ বাজারে চাকরিটা আছে বলেই মা আর ছোটভাইকে নিয়ে চলতে পারছে, কারো কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে না, এটিই বা কম কিসের! সামনে শুধু একটিই স্বপ্ন, ভাইটি একদিন মানুষ হবে। কলেজে পড়ে, তারপর বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাস করে ভালো একটা চাকরি নেবে। তখন কোনো দুঃখ থাকবে না। দুই ভাই আর মা... এই তো মাত্র তিনজনের সাজানো-গোছানো সংসার। কবিতার মতো পরিপাটি সংসারটা হবে আয়নার মতো দেখতে স্বচ্ছ।
এমন সময় রহমানের পাশ দিয়ে বিয়ের গাড়ি সারিবদ্ধভাবে চলে যায়। বিয়ে করতে যাচ্ছে বরযাত্রি নিয়ে বর। রহমান ভালোভাবে দেখার সুযোগ পায় না। ছুটে চলে যায় একেবারে চোখের পলকে। রহমানের এমন একটা স্বপ্ন ছিলো একসময়। বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেসমিন নামের এক সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে রহমানের ভাব চিলো প্রচণ্ড। একদিন কতো না স্বপ্ন এঁকেছিলো তারা দুজনে। স্বপ্ন ছিল সংসার হবে, ভালোবাসার বাসরে সমস্ত স্বপ্নগুলো নিয়ে ফুলের মালা গাঁথার মতো সাজাবে। চোখের মধ্যে ছিল অনেক অনেক প্রত্যাশা আর রক্তের মধ্যে ছিল প্রেমের স্বরধ্বনি। এক মুহূর্ত জেসমিনকে ছাড়া যেন অচল নদী হয়ে যেতো রহমান। আর রহমানকে ছাড়া ভেঙে পড়া মাস্তুলহীন জাহাজ জেসমিন, এ’ প্রেম সত্যিই কি স্বর্গ থেকে এসেছিলো মানব-মানবীর হৃদয়ে।
যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে ফিরে এসে জেসমিনের কোনো খবর পায়নি রহমান। সেও তাহলে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের শিকার, ঘাতকরা তাকে বাঁচতে দেয়নি পৃথিবীর মানচিত্রে। কি নিষ্ঠুর সময়! আর কিছু ভাবতে পারে না রহমান। সমস্ত ভাবনা আর চিন্তাগুলো মাথার ভেতর জট পাকিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে চাপ-চাপ কালো অন্ধকার ভিড় করে আছে। কি করবে বা সে আর! তবু যে বাঁচতে হবে। বড়ভাই নেই ভাবী নেই বাবা নেই বোন শাহানা নেই, নেই জেসমিন... সারা দুনিয়াতে তার শুধু নেই নেই... কিন্তু সে রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ তো শেষ হয়নি, মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার আদায়ের মিছিল শেষ হয়নি, চলছে মিছিল চলছে... সমস্ত মিছিলের অগ্রভাগে যে রহমান।
বর্গীরা চলে গেছে, মারাঠিরা পরাস্ত হয়েছে, ডাচরা পালিয়েছে, ইংরেজরা লেজ গুটিয়ে ছুটেছে আর পাঞ্জাবিরা মার খেয়ে নাকখত দিয়ে ভেগেছে নিজের দেশে। কিন্তু এদেশ তো রয়েছে, এদেশকে আবার গড়তে হবে, সুজলা-সুফলা দেশের মাটি থেকে সোনা ফলিয়ে উন্নতির উচ্চ সীমায় নিয়ে যেতে হবে। রহমান মনে-মনে প্রতিজ্ঞা করে, এবার দাঁড়াতে হবে কঠিনভাবে, একটা যুদ্ধ মাত্র শেষ হয়েছে কিন্তু সামনে আছে আরো অনেক অনেক যুদ্ধ। সকল যুদ্ধে জয়ী যে হতেই হবে তার দেশকে।
এমন সময় একটি টাউন সার্ভিস বাস রহমানের পাশে এসে দাঁড়ালো, ভীড়ে ঠাসাঠাসি। এতোটুকু জায়গা নেই পা রাখার। দুজন নামছে তো দশজন উঠছে, রহমানের হাতে আর সময় নেই। সময় ছুটে যাচ্ছে আগুনের শিখার মতো, এভাবেই তাকেও উঠতে হবে। হাত-পা গুটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে কখনো সে উঠতে পারবে না, এভাবে ভেবে নেয় একটু। মনে শক্তি আর প্রাণে সাহস নিয়ে ক্রাচের উপর ভর করে আধুনিককালের ছেলে- ছোকরাদের মতো একটা লম্বা লাফ দেয় এবং সত্যসত্যিই সে যাত্রীর ভিড় ঠেলে ঢুকে যায় আচম্বি। সবাই চাপাচাপির মধ্যে রহমানের চেহারা দেখে একটু সরে-সরে জায়গা ছেড়ে দেয়।

আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
মার্কিন শ্রমনীতি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হয়রানি
একদিনে দশটি পথসভা, উঠান বৈঠক ও একটি জনসভা করেন সাজ্জাদুল হাসান এমপি
নতুন বছরে সুদহার বাড়ছে
শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেই আজকের উন্নত বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
রাজপথের আন্দোলনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে: মুরাদ
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকায় ইসলামী ব্যাংক
হাইকোর্টের ৫২ বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি
নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইতিহাসের মহানায়ক: একটি অনন্য প্রকাশনা
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft