প্রকাশ: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৪ পিএম

কথাসাহিত্যিক শরৎ চন্দ্রের কালজয়ী “দেবদাস” বিয়োগাত্মক প্রেমকাহিনীর এক জননন্দিত উপাখ্যান। বরেণ্য নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের অনন্য নির্মাণশৈলীতে পর্দায় ভিন্নরূপে উপস্থাপিত হয় শরতের অমর সৃষ্টি সেই “দেবদাস”। ঢালিউডের সেই “দেবদাস” এর আধুনিক ভার্সন নির্মাণ করে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বলিউডের সঞ্জয় লীলা বানসালি। আর কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক শরৎ চন্দ্রের সেই অমর সৃষ্টি দেবদাসকে ঢাকাইয়া তরুণের রূপে পর্দায় আনছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদ হোসেন।
ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন বুবলী ও আদর আজাদ।
নির্মাণের বিস্তারিত তুলে ধরার লক্ষ্যে শুক্রবার রাতে রাজধানীতে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ঢাকাইয়া সংস্কৃতির অন্যতম আদি সংস্করণ ঘোড়ার গাড়িতে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন বুবলী।
নির্মিতব্য এই চলচ্চিত্রটির বিষয়ে কিংবদন্তির ঢাকা গ্রন্থের লেখক নাজির হোসেনের ছেলে পরিচালক জাহিদ হোসেন বলেন, পুরাণ ঢাকার আদি সংস্কৃতির সাথে চিরন্তনপ্রেমের গল্পে ভিন্নরূপ পাবে “ঢাকাইয়া দেবদাস”। সাহিত্যের নন্দিত এই চরিত্রের সাথে ঢাকাইয়া সংস্কৃতির মিশেলে সিনেমাটি গতানুগতিকতার বাইরে ভিন্নরূপ পাবে বলেও জানান এই নির্মাতা।
পুরান ঢাকার খাবার, পঞ্চায়েত প্রথা, পুরান ঢাকার সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব, ভাষা, ধর্ম ছবিটিতে তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি। ঢাকাইয়া ভাষায় নির্মিতব্য এই সিনেমাটি চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ে আশার আলো হয়ে দেখা দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জাহিদ হোসেন।
সিনেমাটির এই আনুষ্ঠানিক পথচলায় আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মাওলা বক্স সরদারের ছেলে আজিম বক্স, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, প্রযোজক জাহাঙ্গীর শিকদার। অন্যান্যের মধ্যে চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিক্ষক রাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সিনেমাটির নাম ভূমিকায় থাকা চিত্রনায়ক আদর আজাদ বলেন, গল্পে কিছু মজার জায়গা আছে বলেই সিনেমাটির সাথে আমার পথচলা। এমন ঐতিহাসিক কাহিনীর গল্পের ছবিতে বিনিয়োগ করার জন্য প্রযোজককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার ইতিহাসের সাথে পথচলার সঙ্গী হতে পেরে আমি গর্বিত।
বুবলী বলেন, এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ঢাকাইয়া নাম শুনেই মনে হচ্ছে ঐতিহ্যের ভালো কিছু হবে। ভিন্ন কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এই ছবিটিতে দর্শকরা আমাকে ভিন্ন ভাবে আবিস্কার করবে।
আজকালের খবর/আতে