প্রকাশ: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১:১৭ পিএম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্তকরণে চলছে জোর আলোচনা। কে পাবেন দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের “গ্রীন সিগন্যাল” এই নিয়েই তীব্র আগ্রহ সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। এক্ষেত্রে বগুড়ার সোনাতলা-সারিয়াকান্দির পরিস্থিতি ভিন্ন নয়। এ আসনে অন্তত হাফডজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে সক্রিয়।
প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দলের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনের সাধারণ বিএনপির ভোটার ও নেতাকর্মীরা মনে করেন, দীর্ঘ ১৭ বছর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ বগুড়া -১ আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির দলের জন্য মামলা, হামলা, জেল-জুলুম সহ্য করে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন আমরা তাকেই ভোট দেবো, গ্রীণ সিগন্যাল গুজবে আমরা কান দিবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কে গ্রিনসিগন্যাল পাবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। ফলে কে হবেন ধানের শীষের কান্ডারী, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা।
বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়া। এ জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নিয়ে বগুড়া-১ নির্বাচনী আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬২জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৫জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২ জন। এ আসনে ভোটাররা অনেক সময় দলীয় আদর্শের পাশাপাশি প্রার্থী ব্যক্তিত্বকেই বেশি গুরুত্ব দেন। সব মিলিয়ে রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কে পাবেন বিএনপির প্রকৃত গ্রিন সিগন্যাল।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, দলের দুঃসময়ে যখন অনেকেই পিছু হটেছিলেন, তখন এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ছিলেন মাঠে। আন্দোলন-সংগ্রামে, জেল-জুলুমের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন। বারবার কারা নির্যাতিত এই নেতা সোনাতলা উপজেলা বিএনপির ১৮৬টি রাজনৈতিক মামলা পরিচালনা করেছেন। এই মানবিকতা, ত্যাগ আর রাজনৈতিক সততার জন্যই আজ তিনি তৃণমূলে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির।
সোনাতলা পৌরসভা ০৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি ফজলুল করিম লাজু "আজকালের খবর'কে" বলেন আমরা স্বাধীন দেশে গতো ১৭ টি বছর স্বাধীন ভাবে চলতে পারিনি, কাজ করতে পারিনি, আমাদের নামে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে না পেয়ে আমার বাড়িতে এসে মাটির চুলা, হাড়িপাতিল, ঘড়ের বেড়া, সোকেচ ভাংচুর করেছে।
ঘড়ে থাকতে পারিনি। জংগলে রাত কাটিয়েছি, অন্যের বাড়ির রান্না ঘর, গোয়াল ঘড়ে থেকেছি, আমার নামে ২৩ টি মামলা দিয়েছলো, সেই দূরদিনে, আওয়ামী লীগের দূরশাসনের সময় আমাদের জামিন করিয়েছে জাকির সাহেব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপির দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে সোনাতলায় জাকির সাহেব ছাড়া আমরা অন্য কাউকে রাজপথে পাইনি, তাই আমাদের দাবি এবং আমরা আশা করি এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির ভাইকে মনোনয়ন দিবে।
রসিদপুর গ্রামের বিএনপি সমর্থনকারী আফসার আলী বলেন জাকির সাহেব না থাকলে সোনাতলায় বিএনপি'র অনেক নেতাদের নিজ সম্পত্তি বিক্রি করে মামলা চালানো লাগতো।
প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ করছেন। তারা দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি ভোটও চাচ্ছেন, হাট-বাজার, রেল স্টেশন, চায়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষ নির্বাচনী খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন।
আজকালের খবর/ এমকে