
গাজীপুরের টঙ্গীস্থ শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতাধীন মৈত্রী শিল্পের নির্বাহী পরিচালক (উপসচিব) কাজী মাহবুব উর রহমান সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত দুর্নীতির অভিযোগকে 'সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' আখ্যায়িত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, 'আমি ১৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান অর্থবছরে কোনো টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি, ফলে কোনো মালামাল ক্রয়ও সম্পন্ন হয়নি। তবুও আমাকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করার যে প্রচেষ্টা চলছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়- কারখানা ব্যবস্থাপক মোঃ মহসিন আলী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মে জড়িত। তার সহযোগী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, আসাদুল হক, আব্দুস সামাদ, মোঃ হাফিজুর রহমান, সৈয়দ ওশিউর রহমানসহ কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অডিট কার্যক্রমে এসব অনিয়মের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে-ঠিকাদারদের কাছ থেকে ভ্যাট/ট্যাক্স আদায় না করা, মালামাল বুঝে না নিয়েই বিল পরিশোধ করা, বিক্রিত মালামের ১ কোটি ৬২ লক্ষাধিক টাকা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, এই অডিট রিপোর্ট প্রকাশের পরই দুর্নীতিবাজ চক্র আতঙ্কিত হয়ে ওঠে এবং অডিট কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য নানা অপতৎপরতা শুরু করে। তারা আমার বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যবহার করে মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার চালাতে থাকে, এমনকি কিছু নারী কর্মচারীকেও লেলিয়ে দিয়ে আমার মানহানি করার চেষ্টা চালানো হয়।
কাজী মাহবুব উর রহমান আরও জানান, ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ থেকে তারা পরিকল্পিতভাবে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে কর্মচারীদের মানববন্ধনে বাধ্য করে। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নোটিশপ্রাপ্ত ও বদলিকৃত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী-সালমান শাহরিয়ার, কামরুন নাহার শান্তা, ফারজানা আক্তার দিপ্তী, মীর মোঃ তাহের আলী-এই ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি দাবি করেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশাসনিক স্থবিরতা তৈরি করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল ও দীর্ঘদিনের দুর্নীতির তথ্য ধামাচাপা দেওয়া। তাদের অপপ্রচার ও মানববন্ধনের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
নির্বাহী পরিচালক কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, আমার কঠোর অবস্থানের কারণে তাদের অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আমাকে অপসারণের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এসব মিথ্যা প্রচারের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজকালের খবর/ এমকে