প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর কয়েকটি পিলারে ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্বোধনের এক বছরের ব্যবধানে এমন ফাটল দেখা দেওয়ায় নির্মাণক্রটি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে ফেসবুকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে এমন অবস্থা হলেও যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা ফাটল নয় বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট হেয়ারক্রাক বা চুল আকৃতি ফাঁকা।
যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী নাইমুল হক বলেন, ‘রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তের ৮-১০টি পিলারের নিচের অংশে কিছু জায়গায় চুল আকৃতি ফাঁকা বা হেয়ার ক্র্যাক দৃশ্যমান হয়েছে। যা ঘষে রেজিন বা আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে। ফেসবুকে কেউ অসৎ উদ্দেশে চুল আকৃতি ফাঁকা স্থানগুলো আরো বড় দেখিয়ে ছবিগুলো পোস্ট করে জনমনে আতংক ছড়িয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি নির্মাণ কাজের কোনো ক্রটি নয়, আবার হানিকম্ব হয়েছে সেটাও নয়। মূলত প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ায় সেতুর পিলারে শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র আকৃতির হেয়ার কাট বা চুল আকৃতির ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। যা মোটেও সেতুর কংক্রিটের অবকাঠামো বা স্থাপনার জন্য ক্ষতিকর নয়। এতে ট্রেন চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
চলতি বছরের ১৮ মার্চ দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এতে রেলপথের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হয়।
সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ দিয়েছে সরকার। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০২১ সালের মার্চে সেতুর পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
আজকালের খবর/ওআর