প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৭ পিএম

দুর্যোগের সময় জনদুর্ভোগ লাঘব করতে সরকার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এবং চটচটিয়া শিবনগর খেয়াঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেন, দুর্যোগকালে জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে। অতীতে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। উঁচু স্থানে নির্মাণ করলে সেগুলো অধিক কার্যকর হতো।
তিন বলেন, স্থানীয় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজগুলো করা হয়েছে। সত্যিকার দুর্যোগের সময় সেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো কোনো কাজে আসবে না। জনগণের জন্য সুবিধা হয়, এমন স্থানে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।
গণমাধ্যমর্কীদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ হয়নি এমন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে যেগুলোর উপযোগিতা নেই, সেগুলোর বিষয়ে নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, এখন তিনতলা বিশিষ্ট দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। দুর্যোগকালে সেগুলোর দ্বিতীয় তলায় নারী-শিশু এবং তিন তলায় থাকবে পুরুষরা। সরকার অর্থ খরচ করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য। দুর্যোগের সময় ভবনগুলো সেল্টার হিসেবে ব্যবহার হবে, অন্যসময় এগুলো জনস্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।
আজকালের খবর/ওআর