ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে এগিয়ে চলছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এ নৌবহরে রয়েছে ৪৫টি জাহাজ। যারমধ্যে আছেন ৪০ দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী।
সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজগুলো এখন পেরিয়ে গেছে সেই স্থানটি, যেখানে এরআগে পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গসহ আরও কয়েকজনকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েল।
বুধবার (১ অক্টোবর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। তারা বলেছে, ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও তাদের জাহাজের কাফেলা গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা, গাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সেখানকার মানুষের প্রতি অসহিংস সংহতি প্রকাশ সমুন্নত রাখার নতুন সংকল্প নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন।
নৌবহরে থাকা সব জাহাজ ও অধিকারকর্মীরা নিরাপদ আছে জানিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা বলেছে, “বর্তমানে সবাই নিরাপদ আছে। মাদলিন জাহাজকে যেখানে আটকানো হয়েছিল আমরা সেখান থেকে এখন অনেক সামনে আছি। আমরা সতর্ক রয়েছি।” এই জাহাজেই ছিলেন গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্য আরও অধিকারকর্মী।
এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজগুলো আটকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অধিকারকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে জাহাজগুলো জব্দ করার পরিকল্পনা তাদের।
জাহাজগুলো জব্দের সময় অধিকারকর্মীদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে আসোদ বন্দরের আশপাশের হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে তাদের আটকের জন্য আসোদ বন্দরে প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
ইয়েনেত জানিয়েছে, গাজার কাছে আসার পর ইসরায়েলি নৌবাহিনী এলিট ইউনিট সায়েতেত ১৩-এর সেনারা জাহাজগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেবেন। ওই সময় পুরো নৌবাহিনীকে এতে যুক্ত করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকারকর্মীদের ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে তাদের আসোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের কেতজিয়োত কারাগারে নেওয়া হবে। যারা ইসরায়েলিদের নির্দেশনা মানবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। নির্দেশনা না মানলে তাদের কারাগারেই আটকে রাখা হবে।
জব্দ করা জাহাজগুলোর কিছু আসোদ বন্দরে আনা হবে। আর বাকিগুলো ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি নৌ সেনারা যে কোনো সময় গ্লোবাল গাজা ফ্লোটিলায় হামলা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বহরে থাকা একাধিক অধিকারকর্মী এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা
আজকালের খবর/ এমকে