প্রকাশ: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১৫ পিএম

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মো. আনিছ মিয়া (১৩)। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। প্রায় দুই মাস আগে এ দুর্ঘটনায় তার দুটি হাত, একটি পা ও পেটে মারাত্মক জখম হয়। জীবন বাঁচাতে সমাজের সহানুভূতিশীল ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে পরিবারটি।
আনিছ মিয়া পেকুয়া সদর আশরাফুল উলুম মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। এরই মধ্যে তিনি ২০ পারা কোরআন হেফজ করেছেন। তার বাড়ি পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা গ্রামে। বর্তমানে পরিবারটি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
আনিছের পিতা সাইফুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, দুই মাস আগে পেকুয়া বাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়। তার দু’টি হাত, একটি পা ও পেটের অংশ পুড়ে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডুলহাজারা খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের চিটাগং হেলথ পয়েন্টে চিকিৎসাধীন। এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম আরও জানান, ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে তিনি একমাত্র বসতভিটা বিক্রি করে দিয়েছেন। সমাজের অনেকের সহযোগিতায় এতদিন চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই তিনি সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষদের কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আনিছের মা মুন্নি আক্তার বলেন, চার সন্তানের মধ্যে আনিছ সবার বড়। এখন পঙ্গুত্ববরণ করে কষ্টে আছে। ডাক্তার বলেছেন, তার একটি হাত কেটে ফেলতে হতে পারে। স্বামী দিনমজুর তার পক্ষে একদিকে সংসারের খরচ, অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসার খরচ বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
নিজেই আবেগঘন কণ্ঠে আনিছ বলেন, আমি বাঁচতে চাই। আবার পড়াশোনা করে হাফেজ হতে চাই। এখন পর্যন্ত ২০ পারা হেফজ করেছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। আপনাদের সহযোগিতায় আমি আবার জীবনে ফিরতে চাই।
আনিছ মিয়ার চিকিৎসায় সাহায্য পাঠাতে বিকাশ ও নগদ নম্বর: 01869-336197
আজকালের খবর/ওআর