প্রকাশ: সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:১৩ পিএম

কুমিল্লা দেবীদ্বারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জা। কাঠামো তৈরির কাজ শেষ করে এখন চলছে রং-তুলি আর অলঙ্করণে প্রাণ দেওয়ার কাজ। প্রতিমার চোখ আঁকার সূক্ষ্ম শিল্পকর্মে ফুটে তুলছে দেবী দুর্গার রূপ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে মা দুর্গা গজে চড়ে মর্ত্যলোকে আসছেন শান্তির বার্তা নিয়ে। মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং আগামী ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়াদশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে পূজা ভক্তদের।
সোমবার দুপুরে উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক বিমল দত্ত জানান, এ বছর উপজেলায় মন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে মোট দাড়িয়েছে ১০৩ টি।
গেল শুক্রবার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখা, উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দূর্গা, প্রতিমা তৈরি করে রং এর আচড় লাগিয়ে মণ্ডপগুলিতে সুন্দর রুপে ফুটিয়ে তুলার প্রতিযোগিতা করছে কারিগরেরা। এ জন্য স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে কারিগর এনে প্রতিমা তৈরি করাচ্ছেন পূজা কমিটির আয়োজকরা।
চাপানগর শাহ পড়ার বড় বাড়ির বজন চন্দ্র সাহা বলেন, শারদীয় দূর্গা পূজায় ছোট ছেলে- মেয়েরা বেশী আনন্দ করে, মেয়েরা স্বামী বাড়ির থেকে বেশি পিত্রালয়ে আসা পছন্দ করে। গুনাইঘর গ্রামের ধর বাড়ির নিখিল চন্দ্র ধর জানান- মুন্সিগঞ্জের কারীগর যতিন্দ্র বাবুকে দিয়ে এবারের মণ্ডপ তৈরি করি এতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়, তবে রেডিমেট তৈরি করা মণ্ডপ আনলে খরচ বাঁচে কিন্তু সুন্দর কম হয়। ছেপাড়া গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব জানান- পূজার ছুটিতে স্বাধীনভাবে ঘুরাঘুরি করা সবচেয়ে আনন্দ বেশি পাওয়া যায়। উপজেলার সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের মন্টু শাহা জানান, পূজা উদযাপনে পুরুষেরা ধূতী কাপড় পড়তে বেশী পছন্দ করে। শীল বাড়ির অনিমা রানী দেব জানান- তিনি পূজাতে নাচ দেখতে ও নাচতে বেশি পছন্দ করেন।
দেবীদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, শান্তিপূর্নভাবে পূজা উযদাপন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিটিং করা হবে। আর শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও নিবির
পর্যবেক্ষণ এবং মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীেদের শারদীয় দুর্গা পূজাকে শান্তিপূর্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশ রাখতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মণ্ডপগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রশাসনের টিম গঠন করে মনিটরিং রাখা হবে।
আজকালের খবর/ওআর