
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন শ্রমিকরা। ন্যায্য বেতনের দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস, হানিফ, হানিফ কেটিসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাসচালক ও শ্রমিকরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা যাতায়াতে একজন বাস চালককে ১৩৫০, সুপারভাইজারকে ৫৭০ এবং হেলপারকে ৫৩০ টাকা দেন বাসমালিকরা। গত ১৫ বছর ধরে তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। দফায় দফায় বাসমালিকদের সঙ্গে বসেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
তাই সোমবার ভোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট চলাচলকারী সব গাড়ি বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন তারা। তবে একতা পরিবহনের বাস চলাচল করছে।
এদিকে, নাটোর থেকেও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সব যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নাটোর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। আন্তনগর বাস বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ রুটের লোকাল বাস চলাচল করছে। সোমবার ভোর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই রুটে বাস চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, একই দাবিতে একদিনের জন্য বন্ধ ছিল রাজশাহী-ঢাকা রুটের বাস। গত মঙ্গলবার প্রায় ৪১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। তবে সে সময় দাবি আদায় না হওয়ায় শুক্রবার বাসশ্রমিকরা নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পরিবহন শ্রমিক রাশেদুল জানান, একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করলে চালককে এক হাজার ৩শ টাকা, সুপার ভাইজারকে ৫৭০ টাকা এবং চালকের সহকারীকে ৫২০ টাকা প্রদান করেন পরিবহন মালিকরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন মালিকদের কাছে বেতন বৃদ্ধি দাবি করে প্রতিকার পাননি পরিবহন শ্রমিকরা। চালকের বেতন ২ হাজার টাকা এবং সুপার ভাইজার ও চালকের সহকারীর বেতন ৫শ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকাগামী বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় নাটোরের অনেক কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়। ঢাকাগামী যাত্রীরা নাটোর বাসট্যান্ডে এসে দুর্ভোগে পড়েন। দুর্ভোগ থাকলেও যাত্রীরা বলছেন শ্রমিকদের এই দাবি যৌক্তিক।
যাত্রী শামীম আহমেদ বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হবে। ছোট ভাইকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছি। কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।
আরেক যাত্রী মানিক জানান, বাস বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন তিনি। তবে শ্রমিকদের দাবি সঠিক বলে মনে করেন তিনি।
বাস বন্ধের বিষয়টি নিয়ে নাটোরের বাস কাউন্টারগুলোর কেউ কথা বলতে চাননি।
আজকালের খবর/বিএস