প্রকাশ: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুটুক্তির অভিযোগে দায়ের করা দশ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার ডা. মুরাদ হাসানসহ দুজন আসামির বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত অপর আসামি হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টকশোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। এই ঘটনায় জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরী মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার বাদী হয়ে ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টকশোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়। অসৎ উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে তারেক রহমান ও জাইমা রহমান তথা জিয়া পরিবারের দশ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন দশ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মানহানি মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ও অপর আসামী মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজকালের খবর/বিএস