ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল এবং সাংবাদিক মন্জুরুল আলম পান্নাসহ কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডিআরইউতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষক, আইনজীবী ও অন্যান্য পেশাজীবীদের নিয়ে মঞ্চ ৭১-এর ব্যানারে তারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে জনতা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানালে পুলিশ এসে তাদের হেফাজতে নিয়ে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর। তিনি বলেন, ডিআরইউতে একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র মব সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজন পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
এদিন সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জাতীয় নেতা ড. কামাল হোসেনের। তবে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাননি।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ অতিথিরা এর আগেই পৌঁছে যান। খবর পেয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা অনুষ্ঠানস্থল ঘেরাও করে রাখে। তারা লতিফ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশ ও অবস্থান ঠেকাতে অবরোধ গড়ে তোলে।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন স্থানীয় যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। সংঘর্ষে যুবলীগের তিন কর্মী ও আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ সাত জনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত ছাত্র জনতা পুলিশকে লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আটক করার দাবি জানান।