প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২:৪৯ পিএম

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কক্সবাজারের সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। এই সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ।
আগামী ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের এ বিষয়ে আজ রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক রাষ্ট্রদূত বলেন, কক্সবাজার সম্মেলনের শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
কূটনীতিকদ্দের ব্রিফিং শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, একসময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে। এখন যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই কারণে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্খা এবং তাদের স্বপ্নগুলোকে সে সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে। যেহেতু রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র নয় কিন্তু তাদের পক্ষে কাউকে তাদের কথা তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ এ ধরনের প্রক্রিয়াতে সে কাজটি করছে।
আজকালের খবর/বিএস