
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’ ২০২৫ সালের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি শহীদ জিয়াউর রহমানের সময়ে শুরু হয়েছিল। যা রাজনৈতিক বিবেচনায় পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দেয়। আমরা রাজনীতিক বিবেচনার বাইরে গিয়ে দেশের শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতির চর্চা বাড়ানোর জন্য এটি আবার শুরু করছি।
আশা করছি, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন করে দেশে শিল্পী গায়ক সংস্কৃতিকর্মী তৈরি হবে, যারা জাতি গঠনে বড় ভূমিকা রাখবেন।
বিটিভি জানায়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। দেশকে ১৯ অঞ্চলে ভাগ করে বাছাইপর্ব শেষে বিজয়ীরা অংশ নেবেন মূল প্রতিযোগিতায়। একক ও দলীয় অভিনয়, নাচ, গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গল্প বলা- এমন নানা বিষয়ে হবে প্রতিযোগিতা। ৬-১০ বছর বয়সীরা ‘ক’ শাখা আর ১১-১৫ বছর বয়সীরা ‘খ’ শাখায় অংশ নিতে পারবেন।
নতুন কুঁড়ি হচ্ছে শিশু শিল্পীদের জন্য বাংলাদেশী রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা যেটি মুস্তফা মনোয়ারের হাত ধরে ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন স্বল্প পরিসরে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো। মুলত শিশু/কিশোরদের মেধা অনুসন্ধান কার্যক্রম বলতে যা বোঝায় সেই ররকম কার্যক্রম হিসেবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ১৯৭৬ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশেষ আগ্রহে বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ারের নির্দেশনায় নতুন কুঁড়ি নামে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিলো কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর নামক কবিতা থেকে। যার প্রথম পনেরো লাইন অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী থিম সং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। শুরু থেকেই এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে আজাদ রহমান শাকিল (মাস্টার শাকিল), ইলোরা গওহর, শুভ্রদেব, অভিনেত্রী তারানা হালিম, তমালিকা কর্মকার, লোপা, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাকিয়া বারী মম, সাবরিন সাকা মীম, গায়িকা সামিনা চৌধুরী, হেমন্তী রক্ষিত দাস ও মহবুবা মাহনুর চাঁদনীসহ আরও অনেকে। চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে এসব শিল্পী নিজের মেধার ছাপ রেখে চলেছেন।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনাগ্রহে আর্থিক সংকট দেখিয়ে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার খবর প্রকাশিত হলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এবার এর প্রত্যাবর্তনের খবরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে দর্শকদের মধ্যে।
আজকালের খবর/আতে