প্রকাশ: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২:৩১ পিএম

অর্থ পাচারের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করেছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমকে খালাস দেন। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় দেন। আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হেমায়েত উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং দ্রুতই আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ অর্থ পাচার আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করেন। তার সাত দেহরক্ষীকে দেওয়া হয় চার বছর করে কারাদণ্ড। জরিমানা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দেন— অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু; তাই তাদের প্রতিহত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে। এ ঘটনায় র্যাব গুলশান থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করে। ২০২০ সালের আগস্টে সিআইডি আটজনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজকালের খবর/বিএস