প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৪৭ পিএম

আগামী ছয় মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অঞ্চলে স্টারলিংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক চালু করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলবে। এটি তাদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, এটি শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লব হবে। এর ফলে অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে দুর্গম পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার মানে সমতা নিশ্চিত হবে।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমার মূল চিন্তাভাবনা। আমাদের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে প্রতিয়োগিতা করতে হবে। আমরা সবসময় কোটা পাব না। প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের ভালো ভাল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে। আমার প্রধান চিন্তা স্যাটেলাইট শিক্ষাব্যবস্থা। এ জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণ করতে হবে।
তিনি জানান, প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, হোস্টেল, অনাথালয় এবং ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা এই সরকারের লক্ষ্য। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের সব দুয়ার উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ি জনগণ দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে একীভূত হতে চাই। আমাদের সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র সম্পর্কে ভাবতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকবে হবে।
কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই জলাশয় থেকে মাছ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
সূত্র: বাসস।
আজকালের খবর/ওআর