
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, “এই জুলাই ছাত্র জাগরণকে অনেকে ‘বিপ্লব নাকি অভ্যুত্থান’ সেটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। এর উত্তর খুঁজতে গেলে দেখি বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের আন্দোলন হয়েছে। তাই আমি এটাকে জুলাই বিপ্লব বলি। বিপ্লব চলমান প্রক্রিয়া। বহির্বিশ্ব ও আভ্যন্তরীণ হুমকি থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত বিপ্লব চলবে।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই বিপ্লব বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত সরকারি প্রোগ্রামকে প্রধান্য দিই না বরং আমি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামকে অগ্রাধিকার দিই। কারণ তরুণদের কথা শুনতে চাই। যেহেতু ছাত্রদের নেতৃত্বে হয়েছে। তবে ভারতীয় দালাল চক্র ছাড়া এই বিপ্লবে সকল ছাত্র জনতার অংশগ্রহণ করেছে।’
দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো—যা দুই দিক থেকে আসবে বিপদ। প্রথমত, আভ্যন্তরীণ বিপদ। বলতে গেলে ‘র’ কিংবা ভারতের দালালদের মুখোশ উন্মোচন না করলে বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবে না।
আরেকটা বিপদ হচ্ছে এক্সটার্নাল থ্রেট— যা আমার দেশের রাষ্ট্রীয় সীমানা নিয়ে। যেহেতু আমাদের দেশের চারপাশে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে হিন্দু বা বৌদ্ধিস্ট রাষ্ট্র। সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সজাগ থাকতে হবে। অন্যদিকে সামরিক শাসনের দিক থেকে আমরা অনেকাংশই দুর্বল।
আগামী সরকারের প্রতি তিনি বলেন, এই সরকারের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন। আগামীতে যারা সরকার গঠন করবে তাদের প্রতি পরামর্শ দিব— বাংলাদেশের তরুণদের কম্পলচারি মিলিটারি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দেশ বৈদেশিক আগ্রাসনের পথ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সর্বশেষ তিনি জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবীদের সাথে ভালো আচরণ করুন। তাদের সম্মান করতে শিখুন। ভারতীয় এজেন্ডার বিরুদ্ধে ও ইসলামের প্রশ্নে বাংলাদেশের তরুণদের দৃঢ়তা আমাকে মুগ্ধ করে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জুলাই বিপ্লবকে সফল করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জুলাই বিপ্লব হঠাৎ আসা কোনো ঘটনা নয়। এটি দীর্ঘ অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সফলতা। আগামীর বাংলাদেশ হবে সুখী-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।’
উল্লেখ্য, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিন, বিভাগের সভাপতি, আবাসিক হল প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সহ বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকালের খবর/ওআর