প্রকাশ: রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১:৪৩ পিএম

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় মাঠে খুঁজে পাওয়া একটি মর্টার শেলকে খেলনা ভেবে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল একদল শিশু। কিন্তু, হঠাৎই সেটি বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
শনিবার (২ আগস্ট) মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলার সোরবন্দ গ্রামে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শিশুরা মাঠে খেলছিল, সে সময় তারা মর্টার শেলটি খুঁজে পায়। খেলনা ভেবে সেটি গ্রামে এনে খেলতে থাকে তারা, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।
বান্নু অঞ্চলের পুলিশ মুখপাত্র আমির খান বলেন, নিহত ও আহত শিশুদের খলিফা গুল নওয়াজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলছে।
বান্নু রেঞ্জের আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা (আরপিও) সাজ্জাদ খান হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল পাঠানো হয়েছে। তারা প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করেছে এবং পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানে এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অপারেশন চলা এলাকাগুলোতে প্রায়ই বিস্ফোরক দ্রব্য পড়ে থাকে, যেগুলো প্রায়শই শিশুদের হাতে চলে আসে।
২০২৩ সালের অক্টোবরেও এমনই এক ঘটনা ঘটে বেলুচিস্তানের ওয়াধ শহরের জারচাইন এলাকায়। সেখানেও একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত এবং আটজন আহত হয়।
তার আগের মাসে, সিন্ধু প্রদেশের কাশমোর জেলার একটি বাড়িতে রকেট লঞ্চারের গোলা বিস্ফোরিত হলে চার শিশুসহ নয়জন প্রাণ হারায় এবং একজন নারী আহত হন।
এ ধরনের বিপজ্জনক বিস্ফোরকদ্রব্য অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকায় শিশুদের জীবন বারবার ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
আজকালের খবর/বিএস