প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ৬ দিনব্যাপী বইমেলা। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫’ শীর্ষক এই বইমেলা আয়োজন করছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলা একাডেমি। সহযোগিতায় আছে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তবে আজ এই আয়োজন শুরু হওয়ার পর ‘বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’ এই বইেমলায় কিছু প্রকাশনীকে ফ্যাসিবাদের দালালদের অংশগ্রহণ বলে এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলায়’ এমন কিছু প্রকাশনীর অংশগ্রহণ ঘটেছে, যাদের অতীত কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে গণতন্ত্রবিরোধী ও ফ্যাসিবাদপুষ্ট। এই বইমেলা শহীদদের রক্তস্নাত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার স্মারক। এই মেলায় তাদেরই উত্তরসূরিদের জায়গা, যারা গণতন্ত্র, মুক্তচিন্তা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত। সেখানে কোনোভাবেই তাদের জায়গা হতে পারে না, যারা অতীতে ফ্যাসিবাদী সরকার ও স্বৈরশাসকদের প্রচারযন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে কিংবা আজও গোপনে সেই চেতনাকে লালন করে চলেছে।
বিবৃতিতে তারা আরো উল্লেখ করেন, আমরা মনে করি, স্বাধীনতার বইমেলায় যেমন রাজাকারদের জায়গা হতে পারে না, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের বইমেলাতেও পরাজিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দালালদের জায়গা হতে পারে না। তাদের অংশগ্রহণ শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননা এবং গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বাংলা একাডেমির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে ওই চিহ্নিত প্রকাশকদের বরাদ্দ স্টল বাতিল করুন। জনগণের মেলা যেন দালাল ও বিপথগামীদের আশ্রয়স্থল না হয়। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, করব। গণতন্ত্র, প্রগতি ও মুক্ত চিন্তার পক্ষে আমরা আজও অটল।
আজকালের খবর/ওআর