বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ‘পিআর পদ্ধতি’ সামনে এনে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “এই পিআর পদ্ধতির পেছনে উদ্দেশ্য আছে। কেউ বলবে করব, কেউ বলবে করব না—এইভাবে একটা সময় বলবে, নির্বাচন হচ্ছে না, তাই সময় বাড়াতে হবে।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
তিনি পিআর পদ্ধতি ও ইভিএম নিয়ে বলেন, “এ দেশের মানুষকে ইভিএম খাওয়াতে চেয়েছিল হাসিনা, পারেনি। পিআর পদ্ধতিও গিলবে না। দেশের মানুষ এখনো জানেই না পিআর পদ্ধতি কী। আগে মানুষকে ভোট দেওয়া শেখান, পরে পিআরের কথা বলবেন।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচন দিতে এত গড়িমসি কেন? আমি সন্দেহ করি, এদের নির্বাচন ঘোষণার পেছনেও ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। আমরা জানি, আপনারা তারিখ দেবেন, আবার নতুন কিছু বলে বিভ্রান্ত করবেন। কিন্তু আমরা প্রস্তুত। দরকার হলে আরও ১৭ বছর আন্দোলন করব।” তিনি আরও বলেন, “জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড—বিচার বিলম্বিত মানেই বিচার না পাওয়া।”
সমাবেশে জামায়াত ও এনসিপিকে নিশানা করে মির্জা আব্বাস বলেন, “ওরা বিএনপি যা বলে, তার উল্টোটা করে। কখনো আওয়ামী লীগের ঘাড়ে, কখনো বিএনপির ঘাড়ে চড়ে মন্ত্রী হয়, এখন এনসিপির ঘাড়ে চড়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না।”
এনসিপি নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সরকারের উপদেষ্টারা এখন যেখানেই যান, সরকারি প্রটোকল পান, সার্কিট হাউস ব্যবহার করেন। অথচ আমরা তো বহুবার মন্ত্রী ছিলাম, মেয়র ছিলাম, এমন সুযোগ পাইনি।”
বিএনপির আন্দোলনের দীর্ঘতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, “সরকার একদিনে পড়ে না। আমাদের গায়ে গুলি লেগেছে, জেল খেটেছি, গুম হয়েছি। আপনাদের গায়ে তো হোঁচট খাওয়ার চিহ্নও নেই।”
আজকালের খবর/ এমকে