প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজিদুল কিবরিয়া ওরফে সুজন নামে জেলা বিএনপির এক সদস্যকে দলীয় ভাবমূর্তি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের কারণে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
সাজিদুল কিবরিয়া সুজন শহরের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। গত ৯ মে ১৫১ সদস্যের জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাজিদুল কিবরিয়া সুজন ওই কমিটির ১৫০নম্বর সদস্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মুন্সেফপাড়ার বাসিন্দা, প্রয়াত চিকিৎসক এ রসুলের ওয়ারিশ স্ত্রী মোমেনা শরীফ বেগম ও মেয়ে লুৎফা মাহবুবা রুবি-(৫৫) শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ডে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ জমির মালিক। তারা বহুদিন ধরে সম্পত্তিটি বিক্রির চেষ্টা করে আসছিলেন। গত বছরের আগস্টের পর মা-মেয়ে সম্পত্তিটি বিক্রির উদ্যোগ নেন। সম্পত্তিটির বাজার মূল্য ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাজিদুলের মধ্যস্থতায় জায়গাটি বিক্রির জন্য ৩ কোটি ২০ লাখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে কৌশলে জমির দলিল সাবরেজিস্ট্রি করিয়ে নেন সাজিদুল ও তার সহযোগিরা। বাকী ২ কোটি টাকা মৌখিক বাকি রেখে পরে দেয়া হবে বলে তাদের জানানো হয়। ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা ধার নেন সুজন। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে তালাবাহানা করেন তিনি।
গত ৭ জুলাই সাজিদুলের বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত চান লুৎফা। কিন্তু সাজিদুল গালিগালাজ করে লুৎফাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। টাকা না দিলে ঘটনা সবাইকে জানিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার কথা সাজিদুলকে জানান লুৎফা। বিএনপির নেতা হওয়ায় তখন লুৎফাকে হুমকি দেয় সাজিদুল। বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন লুৎফা। সাজিদুলের অপমান সইতে না পেরে টাকার দুশ্চিন্তায় গত ৮ জুলাই বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যা করে লুৎফা। ৯ দশমিক ৩৭ শতকের একটি সম্পত্তি ৩ কোটি টাকায় বিক্রি করেন। কিন্তু ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বিএনপির এই বহিষ্কৃত নেতা। গত ৮ জুলাই বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যা করেন লুৎফা। এ ঘটনায় গত ১০ জুলাই নিহতের মা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
আজকালের খবর/বিএস