নোয়াখালীতে তীব্র সুপেয় পানির সংকট, দুর্ভোগে মানুষ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:২৭ এএম
নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাজারো মানুষ। বিশেষ করে সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো এখনও পানির নিচে। অনেক বাড়ির আঙিনায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমে থাকায় স্থানীয়রা কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃষ্টির পানিতে পুকুর-নালার পানি মিশে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে না পেরে অনেকেই অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

কৃষি খাতেও নেমে এসেছে বিপর্যয়। জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা, আউশের ক্ষেত এবং গ্রীষ্ম-শরৎকালীন শাকসবজির জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে গাছের গোড়া পচা, পোকামাকড় ও নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে আমন বীজের দাম অনেক বেড়ে গেছে, ফলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের লোকসানের মুখে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ জুলাই থেকে নোয়াখালীতে শুরু হওয়া টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার অন্তত ৫৭টি ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ১৮ হাজার পরিবার। এছাড়া সেনবাগ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭টি বসতঘর এবং সুবর্ণচরে একটি ঘর সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে।

মো. দেলোয়ার হোসেন নামের পৌরসভার বাসিন্দা বলেন, পৌরসভা এলাকার কিছু উঁচু অংশ থেকে আগের বৃষ্টির পানি নেমে গেলেও রোববারের বৃষ্টিতে আবারও পানিতে ডুবে গেছে অনেক এলাকা। বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত মানুষ এখন সরকারি সহায়তা ও দ্রুত নিষ্কাশনের দাবি জানাচ্ছেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছি।

সুবর্ণচর উপজেলার কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, চারদিক পানিতে তলিয়ে থাকায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করার মতো উঁচু জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে উঁচু জায়গা আমনের বীজতলা করার জন্য ভাড়া নিচ্ছেন। পুঁজির অভাবে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে পারছি না। আকস্মিক এ দুর্যোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এছাড়া ফলন্ত সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ধার-দেনা পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন এবং দ্রুত পানি না নামলে আউশ, আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে দিনরাত কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২৬০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ৪০ হাজার মৎস্য খামারির মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমরা ৯৮৪ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬ মেট্রিক টন চাল ও ৬ লাখ টাকা বিতরণ করেছি। আরও ১ হাজার ৮২০ প্যাকেট শুকননো খাবার, ৪৮৪ টন চাল ও ১২ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে। আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আজকালের খবর/ এমকে








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন
১৪ বছর পূর্তিতে গাজীপুর প্রেস ক্লাবে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের আলোচনাসভা ও বৃক্ষরোপণ
সেই রাজ্জাকের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার: ডিএমপি
চট্টগ্রাম খুলশীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, থানায় জিডি
এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ডিমলায় মিনি পেট্রোল পাম্পে অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার মালামাল ভষ্মীভূত
গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত
যৌথ কৃষি গবেষণায় অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ আফ্রিকান প্রতিনিধিদলের
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জরুরি সংস্কার চায় বিএনপি: ফখরুল
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft