প্রকাশ: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম

রাজবাড়ীর পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানকে বিতর্কিত করতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার বাবুল সরদারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার। বাবুল সরদার উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের মৃত নাজিমুদ্দিন সরদারের ছেলে।
রবিবার (১৩ জুলাই) বিকালে পাংশা প্রেস ক্লাবে বাবুল সরকারের ভাই ও পরিবারের লোকজন এ সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বাবুল সরদারের ভাই মো. মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৩টার সময় যৌথ বাহিনীর কতিপয় সদস্য ও মুখোশধারী কিছু লোক আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাদের নিরপরাধ ভাই ‘বাবুল সরদার’ কে ডেকে ওঠায় এবং তারা আমাদের বাড়ির দরজার তালা ভাঙচুর করে সমস্ত বাড়ি তল্লাসি করে কোনো কিছু পায় না এবং মুঠোফনে কে বা কাহাকে ফোন করে জানায় যে কোনো কিছু পাওয়া যায় নাই। তারা যখন বুঝতে পারে বাড়িতে সিসি ক্যামেরা আছে, তখন তারা সিসি ক্যামেরার তার ছিড়ে ফেলে এবং ডিবিআর মেশিন নিয়ে নেয়। এর পরে বাহিরে থেকে নিয়ে আসা অবৈধ অস্ত্র বাড়িতে পাওয়া যায় বলে তারা দাবি করতে থাকে এবং পরবর্তীতে খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষক বাবুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে চালান করে। এ সময় তিনি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এই মামলা থেকে ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
বাবুল সরদারের মেয়ে ফারহা প্রভা বলেন, আমার বাবাকে যড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা অপবাদে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আমার বাবার নিঃশর্ত মুক্তিসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাবুল সরদারে ভাই মো. ফিরোজ উদ্দিন, মো. মনোয়ার হোসেন, ভগ্নিপতি মো. আ: করিম, মেয়ে ফারহা প্রভা, ভাস্তি ফারহানা আক্তার ইভা, ভাস্তে নির্জন আহমেদ পাপ্পু।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকার বাবুল সরদারদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে গ্রেপ্তার বাবুল সরদারকে পাংশা মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পাংশা থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
আজকালের খবর/ওআর