রাজধানীতে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়,জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মুন্সিগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ ছাত্র জনতা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রথমে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। এরপর শহীদ চত্বরে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে,চাঁদাবাজের ঠিকানা,এ বাংলায় হবে না সহ বিভিন্ন প্রতিবাদ মুখর স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
কর্মসূচিতে,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ ও ইসলামি যুব আন্দোলন মুন্সীগঞ্জ এর ব্যানারে অংশনেয় অন্তত দেড় শতাধিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা সহ স্থানীয় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ সময়,দেশব্যাপী চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও বিচারবর্হিভুত হত্যা সহ 'মব' পরিস্থিতি তৈরীর বিরুদ্ধে,তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
পাশাপাশি শীঘ্রই ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া না হলে, আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে,হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
এরআগে,মানববন্ধনে বক্তারা জানান,সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে হত্যা,গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মব তৈরির মত লাগাতার ঘটনায় প্রতিবাদে ডাক দেয়া হয়েছে এমন কর্মসূচির।
এতে নির্মম ভাবে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেশবাসীর বিবেকে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে,দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা বলেন,রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত দেশের নানা প্রান্তে প্রতিনিয়ত খুন,গুম ও গণপিটুনির মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। বিশেষভাবে আলোচিত হয় সম্প্রতি মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার হৃদয়বিদারক ঘটনা খুব তৈরি মানুষের মাঝে।
তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি হওয়া এসব ঘটনার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক প্রভাবই মূল কারণ। দোষীরা বিচার ও শাস্তির বাইরে থেকে যাওয়ায় অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা। ফলে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দাবি জানানো হয়।
আজকালের খবর/ এমকে