প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৭:৫০ পিএম

টানা দুইদিনের অতিভারী বর্ষনের ফলে আবারও কোমর পরিমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফেনী পৌরশহরের প্রায় সবগুলি সড়ক। ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডে হাটু-কোমর পরিমান পানি উঠেছে। প্রায় আবাসিক এলাকার নিচতলা ও দোকান পানিতে নিমজ্জিত। আর ফেনী শহরে এই পানি নিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতা মুল কারণ।
বিগত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে। একের পর এক খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণের কারণে টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে ফেনী শহরের আবাসিক এলাকা ও রাস্তাঘাট। গত ১৫ বছরে শহরের পিটিআই খাল দখল করে পৌরসভার ব্যানারে মার্কেট নির্মাণ, এছাড়াও খাজা আহমদ লেক দখল করে ৫ শতাধিক দোকান নির্মাণ, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও তৎসংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পাগলিরছড়া খাল দখল করে পৌরসভার ব্যানারে মার্কেট নির্মাণ করে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা হয়।
এদিকে ফারুক হোটেলের পর থেকে একাডেমী পর্যন্ত সড়কের পানি নিষ্কাশন না হওয়ার জন্য দায়ী অনুন্নত ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনগুলোর সঙ্গে কোনো খালের সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কেও আধুনিক ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি ফেনী পৌরসভা।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো এখন ফেনী পৌরসভা আর অবৈধ দখলদারদের কবলে। অবিলম্বে এসব খাল উদ্ধার করে পানি প্রবাহের পথ উন্মুক্ত করার দাবি ভুক্তভোগীদের।
এদিকে শহরের জলাবদ্ধতা দেখে অনেকেই বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন। এটি বন্যার পানি নয়, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় জমা পানি। ২০২৪ সালের বন্যার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। ফেনী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাময়িক এ জলাবদ্ধতায় আতঙ্কিত না হতে শহরবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
শহরবাসীর প্রাণের দাবি, অবিলম্বে অবৈধ মার্কেট ও স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহের খালগুলো উন্মুক্ত করা হোক।
আজকালের খবর/ওআর