মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘সহস্র কণ্ঠে দেশের গান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে আয়োজিত গানের সুরে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে পুরো প্রাঙ্গণ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। আয়োজনজুড়ে বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশাত্মবোধক আবহ ছিল চোখে পড়ার মতো নতুন দৃশ্যপট।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ও দেশাত্মবোধক গান, সমবেত কণ্ঠে দেশের গান, নৃত্য পরিবেশনা এবং আবৃত্তি। ‘সহস্র কণ্ঠে দেশের গান’ পর্বে শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত কণ্ঠে দেশপ্রেমের সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মাঠ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে এত বড় পরিসরে ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের নজির নেই। তাদের মতে— আয়োজনের প্রতিটি পর্বেই বাঙালিয়ানা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দেশপ্রেমের চেতনার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।
আয়োজকদের বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া এবং জাতীয় দিবসগুলো সম্মিলিতভাবে উদযাপনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইট বলেন, ৭১ সালে যে পূর্ণতা আমরা পাইনি, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার মাধ্যমে তা অর্জিত হয়েছে। পতিত স্বৈরাচার অতীতে নিজেদের স্বার্থে বিজয় দিবস উদযাপন করলেও ২৪-এর পর আমরা সবাই স্বাধীন ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দিবস উদযাপন করতে পারছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ৭১-এর বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও ২৪-এর চেতনা একই—একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়া। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় তোমাদের সবাইকে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে। ছাত্রজনতা এদেশের স্বাধীনতা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে।
আজকালের খবর/ এমকে