প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম

নেত্রকোনার মদনে বিয়ে করে বাসর ঘর করতে দিলেন বন্ধুকে। তবে নববধূ দুই বন্ধুর এমন প্রতিশ্রুতি মেনে না নিয়ে ক্ষোভে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।
নববধূ ও বরের বাবার বাড়ি সূত্রে জানা যায়, নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবু চানের ছেলে কেন্তু নিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে ২৫ সেপ্টেম্বর পাশের ইউনিয়নে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়। কেন্তু মিয়া নববধূর বাড়িতে এনে বন্ধুকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে গিয়ে নিজে বাসর না করে নিজ ঘরে বাসর করার জন্য বন্ধু শরিফকে পাঠায়। এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তার নববধূ। বিষয়টি প্রথমে পারিবারিকভাবে গড়ালেও বর্তমানে এ নিয়ে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই নববধূ লোকলজ্জায় তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, গত কোরবানী ঈদে পারিবারিকভাবে শরিফ নায়েকপুর ইউনিয়নে বিয়ে করে। দুই বন্ধুর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্তু মিয়া শরিফের নববধূর সঙ্গে বাসর করে। তবে কেন্তু মিয়ার বিয়ের পর তার স্ত্রী বাসর ঘর করতে বাঁধা দেয়ায় শরিফ আর বাসর ঘর করতে পারেনি। শরিফ বাসর করতে না পাড়ায় দুই বন্ধুর মধ্যে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার নোয়াগাঁও কেন্তু মিয়ার গ্রামের বাড়ি ও শরিফ মিয়ার গ্রামের বাড়িতে গেলে বৃদ্ধ দুই মাকে পাওয়া যায়। এ ব্যাপার শরিফ মিয়ার মা মানেদা আক্তার জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে তারা দুই জনেই ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তারা বিয়ের আগে এক সঙ্গে সময় কাটাতো। আমার ছেলে বিয়ে করার পর কেন্তু মিয়াকে আমার বাড়িতে কম আসতে বলি।
কেন্তু মিয়া তার মোবাইল ফোনে জানান, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তবে দুই বন্ধুর এমন প্রতিশ্রুতির বিষয় জানতে চাইলে ফোনটি কেটে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয়।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া জানান, ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে গ্রাম বৈঠকে বসা হয়েছিল। কিন্তু, কোনো সুরাহা হয়নি।
প্রতিবেশি চাচা আব্দুল গণি বলেন, বাবা কিতা কইতাম। এমন সমাজ বিরোধী ঘটনা জীবনেও শুনি নাই। বউটি এখন চলে গেছে। জানি না আর আসবে কিনা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
তবে কেন্তু মিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাফরিন আক্তার বলেন, শরিফ মিয়ার বউ যদি বাসর রাতে বাঁধা দিত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। এখন তিন পরিবারকে সমাজের মানুষ ধীক্কার দিচ্ছে। মানুষের নিকট মুখ দেখাতে পারছি না।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি শামছুল আলম শাহ বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে নববধূর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজকালের খবর/ওআর