
পাঁচটি দাবি নিয়ে জরুরি সভা করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক নামধারী স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের সভা কক্ষে জরুরী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের দাবিগুলো হলো-
১। নিয়োগবিধি সংশোধন।
২। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান সংযোগ।
৩। স্বাস্থ্য সহকারী-১৪, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১৩ ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক-১২ তম গ্রেড প্রদান।
৪। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নতীকরণ।
৫। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
৬। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাযাহিক ভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, অধ্যাপক ডাঃ শেখ ছাইদুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), ডাঃ এ.বি.এম আবু হানিফ, পরিচালক (প্রশাসন), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলী আকবর আশরাফী, সাবেক পরিচালক, এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ডাঃ সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের সকল নেতৃবৃন্দ সম্মিলিত ভাবে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হই। টিসিডি টিকা দান ক্যাম্পেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রোগ্রামে প্রায় ৫ কোটি শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। এত বড় কর্মযজ্ঞ বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতিপূর্বে আর একটিও হয়নি।
বক্তারা বলেন, আপনারা অবগত আছেন যে, এত বড় কর্মযজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারী ছাড়া অন্য কারও পক্ষে টিসিডি টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পাদন করা সম্ভব নয়।মহোদয়গণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও আশ্বাসে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে আসন্ন ১২ অক্টোবর হতে টিসিডি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমার চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করলাম। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আমরা আশা করি আগামীতে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহোযোগিতায় আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ অর্জিত হবে। ভবিষ্যতে আমাদের দাবি অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে আমরা আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
আমাদের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী, মান্যবর সচিব ও মান্যবর মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানাই।
আজকালের খবর/বিএস