প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:১৬ এএম

৫ আগস্টের পর থেকে একটি দল দেশজুড়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনের সময় রাস্তায় ছিল না। রাস্তায় ছিলাম আমরা, জীবন বাজি রেখে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আওয়ামী সরকার হঠাতে জীবন বাজি রেখে বুলেটের সামনে ছিলাম আমরা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভেবেছিলাম এবার মানুষ মুক্তি পাবে, শান্তি পাবে।
কিন্তু কী দেখলাম? রাস্তায় ছিলাম আমরা, আর এখন রাস্তায় গুন্ডামি-মাস্তানি করে চাঁদাবাজি করছে অন্যেরা। এই চাঁদাবাজির জন্য আমরা আন্দোলন করিনি, জুলুম-অত্যাচার করার জন্য আন্দোলন করিনি, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি।
তিনি বলেন, ইসলাম যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে তবে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের গরিব মানুষ দরিদ্রসীমার ওপরে উঠে আসবে। সবাইকে পরীক্ষা করেছেন, ফেল করেছে। একবার ইসলামকে পরীক্ষা করুন। আমরা ফেল করলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্য আসব না।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ইসলাম ও রাজনীতি আলাদা নয়। আমাদের নবী (সা.) রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন, খোলাফায়ে রাশেদীনরাও রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। অথচ আজ মানুষ প্রশ্ন তোলে হুজুররা কেন রাজনীতি করে? আসলে ইসলাম গরিবদের মুক্তির জন্য এসেছে। ইসলামের গোটা অর্থনীতি সাজানো হয়েছে গরিবদের জন্য। ইসলাম ক্ষমতায় এলে গরিবরাই প্রথম মুক্তি পাবে।
আন্দোলনের সময় বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা রাস্তায় ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ছিলেন না, সালাহউদ্দিন সাহেব ছিলেন না, তারেক রহমান দেশেই ছিলেন না, জামায়াতের কোনো বড় নেতা রাস্তায় ছিলেন না। রাস্তায় ছিলাম আমরা, জীবন বাজি রেখে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। অথচ আজ দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের ফসল ভোগ করছে অন্যেরা।
তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে। এছাড়া পূর্বের ন্যায় জগাখিচুড়ি নির্বাচন করা যাবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি এম এইচ মোস্তফার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মো. মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
আজকালের খবর/ এমকে